রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ঈশ্বরগঞ্জে হত্যান্ডের ঘটনায় বাদী পক্ষের লোকজন বিবাদীদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও ফসলি জমি আবাদ করতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গত ২৮ মে ২০১৬ তারিখে কলাগাছের পাতা গরু খেয়ে ফেলার ঘটনায় সংর্ঘষে উভয়পক্ষের ৩ জন আহত হয়। পরে আহত রফিক, মোজাম্মেল হক ও আউয়ালকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আহত রফিক মারা যায়। ঘটনার ৭ দিন পর রফিক মারা যাওয়ায় তার পিতা রেনু মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রফিকের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশের পর বাদীপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদী মোজাম্মেল হকের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বাড়িতে থাকা ফলজ ও বনজ মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি গাছ, ৩টি বাঁশঝাড়ের বাঁশ কেটে নিয়ে যায়। ঘরে রক্ষিত আসবাবপত্র, পুকুরের মাছ ও একটি সেচ পাম্পের মটর লুটকরে নিয়ে যায়। পরে বিবাদী পক্ষের লোকজন ফসলি জমিতে বোরো ধান আবাদ করতে গেলে বাদী পক্ষের লোকজন বাধা প্রদান করায় প্রায় ১ একর ৪০ শতাংশ জমি অনাবাদী থেকে যায়। ফলে বিবাদী পক্ষের প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। মোজাম্মেল হকের স্ত্রী মজিদা খাতুন বাদী হয়ে হামলা ও আহতের ঘটনায় ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ৪নং আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রতিবেদন দাখিল করেনি থানা পুলিশ। মোজাম্মেল হক বলেন, ঘটনার পূর্বে কচু ক্ষেতে গরু যাওয়াকে কেন্দ্র করে রফিকের পিতা মামলার বাদী রেনু মিয়া ও তার লোকজন আমার ছেলে আইনাল হককে বাড়িঘরে উঠে মারধর করে। ঘটনার দিন রেনু মিয়ার ছেলেরা পুনরায় আমার কচু ক্ষেতে গরু দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করায় প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি ঘরে হামলা করে এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিকের মারা যাওয়ার সংবাদ হলে তারা আমার বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে ও পরে ফসলি জমি চাষাবাদ করতে গেলে রেনু মিয়ার লোকজন বাধা দেয়। বর্তমানে প্রাণনাশের ভয়ে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে আসতে পারি না। গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে আমার এক ভগ্নিপতির বাড়িতে এখন বসবাস করছি। হত্যা মামলার বাদী রেনু মিয়া জানান, আমার ছেলেকে ওরা অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে তাই এদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়ার পর পলাতক রয়েছে, মোজাম্মেল হকের ঘরগুলো এমনিতেই ভেঙে পরেছে। আমরা কোন লুটপাট করিনি এবং তার জমিও চাষাবাদে বাধা দেইনি। বাড়ির সামনের জমি দখল করে পুকুর খনন করিনি তবে বাড়ীর কাজের জন্য সবাই এখান থেকে মাটি তুলে নিয়েছে তাই আমরাও নিয়েছি। এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বলেন, হত্যা মামলার আসামী মোজাম্মেল হক জামিনে বের হয়ে আসার পর জমি চাষাবাদ করতে পারছে না বা বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে এমন কোন অভিযোগ থানায় দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আদালতের মামলার প্রতিবেদন ইতোমধ্যে দাখিল করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।