বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চার সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে নিখোঁজ মোখলেসুর রহমান জনিকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নিখোঁজ জনির স্ত্রী জেসমিন নাহারের রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ মার্চ রবিবার এ আদেশ দেন উচ্চ আদালত। বিচারপতি রেজা-উল হক ও বিচারপতি মাহমুদ উল্লাহর বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
মহামান্য উচ্চ আদালতে নিখোঁজের স্ত্রী জেসমিন নাহারের রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ তার স্বামী মোখলেসুরকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ৫-৭ আগস্ট জেসমিন থানায় গিয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা করে খাবার দিয়ে আসেন। ৮ আগস্ট থানায় গেলে আর স্বামীর দেখা পাননি এবং থানা থেকে জানানো হয়, এই নামে থানায় কেউ নেই। বিষয়টি ২৪ আগস্ট পুলিশ সুপারকে অবহিত করার পরেও এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সোমবার সকালে আবেদনকারীর আইনজীবী এম মতিউর রহমান মতিন সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ সুপার কোনও খোঁজ না দেওয়ায় ২৬ ডিসেম্বর নিখোঁজের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যান। কিন্তু তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদ শেখ জিডি নিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। এব্যাপারে আদালত সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে ব্যাখ্যা দিতে বলায় ১৯ মার্চ রবিবার তিনি তার ব্যাখ্যা হাজির করেন।
ব্যখ্যায় বলা হয়েছে, নিখোঁজ মোখলেসুর রহমান নিষিদ্ধ সংগঠন ‘আল্লাহর দল’ এর সঙ্গে যুক্ত এবং তাকে গ্রেফতার করা হয় নাই। ব্যাখ্যা শোনার পর আদালত আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে মোখলেসুরের খোঁজ বের করতে সময় বেঁধে দেন।
নিখোঁজ জনি’র স্ত্রী জেসমিন বলেন, তার স্বামী পেশায় একজন হোমিও ডাক্তার। বাড়ী শহরের কুখরালি গ্রামে। সপ্তাহের চারদিন তিনি কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। শ্বশুরের বিরোধীয় জমিজমা দেখাশুনা করতেন তিনি। আর বাকি দিনগুলি কাটাতেন কুখরালির বাড়িতে। ঘটনার দিনগত রাতে স্বামী মোখলেছুর রহমান শহরের নিউ মার্কেটে এসেছিলেন ওষুধ কিনতে। এ সময় তাকে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই হিমেল গ্রেফতার করেন। বিষয়টি জানার পর তারা থানায় যান। এসময় এসআই হিমেল বলেন, তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। নির্দোষ হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। জেসমিন জানান, স্বামীর সাথে দেখা করেছি । তিন বেলা খাবারও পৌঁছে দিয়েছি। এরপর ৮ আগস্ট সকাল থেকে পুলিশ বলতে শুরু করে জনি কোথায় তা আমরা জানি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।