Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পথচারীদের বাড়ছে দুর্ভোগ, শিক্ষার্থীরা হচ্ছে যৌন হয়রানির শিকার

ভাসমান দোকানের দখলে ওসমানীনগরের ফুটপাত

| প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা : সিলেটের ওসমানীনগরে মহাসড়কের পাশের বাজারগুলোর ফুটপাত ভেঙে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। ভাসমান দোকানের দখলে ফুটপাতের রাস্তা। নির্বিঘেœ যাতায়াত করতে পারছে না বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। ছাত্রীরা শিকার হচ্ছে নীরব ইভটিজিংয়ের। ভেঙে যাওয়া অংশের কোথাও টানানো হয়েছে সর্তক সংকেত। রাতের বেলায় এগুলো অনেক সময় দেখা না যাওয়ায় পা ঢুকে যাচ্ছে গর্তে। মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই সঠিক নজরদারী। জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক নির্মাণের সময় সড়কের দুপাশ ঘেঁষে বাজারের পানি নিষ্কাষণের জন্য ড্রেইন এবং এর ওপর দিয়ে পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের জন্য মহাসড়কের পাশে ফুটপাত তৈরি করা হয়। মহাসড়কের পাশে গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো হচ্ছে, গোয়ালাবাজার, তাজপুর, কদমতলা ও দয়ামীর বাজার। এসব বাজারের পাশে রয়েছে অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন আসতে হয় এ সব ফুটপাত দিয়ে। অথচ ফুটপাত, ফল, সবজি, চায়ের, জুতার ব্যবসায়ীসহ মৌসুমী ব্যবসায়ীদের দখলে। অনেক দোকান ফুটপাত থেকে মহাসড়কের অংশও দখল করে দোকান বসিয়েছে। বর্তমানে এ ফুটপাতের অনেক স্থানে ফাটল ধরে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বাকি অংশ ভাসমান দোকাদার, সমিল, রডসিমেন্ট ও বালু-পাথর ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। কিছু দিন পূর্বে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামকা ওয়াস্তে উচ্ছেদ অভিযান ও জরিমানা করলেও ঘণ্টাখানেক পর আবার তারা ফুটপাত দখলে নিয়ে যায়। সীমাহীন সমস্যার সম্মূখীন হলে কেউ এর স্থায়ী সমাধান করছেন না। কয়েক বছর পূর্বে গোয়ালবজারে এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও মাছ বাজার ছাড়া আর অন্য সব ভাসমান দোকান আবার মহাসড়কে চলে আসে। এতে ঘটতে পারে সড়ক দুর্ঘটনার মতো মর্মান্তিক ঘটনা। ফুটপাতে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার ফলে পথচারীদের পা গর্তে ঢুকে ড্রেনে পড়ে যাচ্ছেন। দখলের কারণে অনেক সময় পথচারী ও স্কুল-মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীদের ফুটপাত ছেড়ে মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ছাত্রীরা শিকার হচ্ছেন নীরব ইভটিজিংয়ের। ছাত্রীরা মান সম্মানের ভয়ে মুখ খুলে কিছু বলতে পারছে না। অন্য দিকে এসব ব্যবসায়িদের কাছ থেকে দৈনিক ৩০ টাকা করে ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রী জানায়, স্কুলে আসা- যাওয়ার পথে কিছু ছেলেরা জিনিসপত্র ক্রয় করার অভিনয় করে ফুটপাতের রাস্তা আগলে রাখে এবং অশ্লীল কথাবার্তাও বলে থাকে। এ ব্যাপারে গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাজার সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান মানিকের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, আমি উচ্ছেদ অভিযান করেছি। কিন্তু সেখান থেকে চলে আসার পর আবার ওরা দোকান বসিয়ে দেয়। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য বাজার কমিটির দৃঢ় অবস্থান জরুরি। আবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো। স্থায়ী সমাধানের জন্য সকলকে নিয়ে একটি সভারও ব্যবস্থার চেষ্টা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ