স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : নরসিংদীর কাজীরকান্দী গ্রামে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে গুলিতে নিহত রুবেলের খুনি আটক জামাল জনগণের কাছে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। সে বলেছে, জুয়া খেলার বিরোধিতাকারীদের গুলি করার জন্য মোমেন মিয়া নামে এক ব্যক্তি তাকে অবৈধ পিস্তলটি দিয়েছে। সে কাজীরকান্দী গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার পুত্র। বর্তমানে সে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে। মোমেন মিয়ার কথায়ই সে রুবেলকে গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যাকান্ডের পর এলাকার জনগণ তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জনগণের কাছে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তার জবানবন্দির এই ভিডিও রেকর্ড গত শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছেছে।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের কাজীকান্দী গ্রামে জনৈক আলাউদ্দিনের বাড়িতে ৩ দিনব্যাপী জুয়া খেলার আয়োজন করে। এই জুয়া খেলার মূল মদদদাতা হচ্ছে একই গ্রামের মৃত সুলতান উদ্দিনের ছেলে মোমেন মিয়া। রুবেলের সাথে জামাল ও মোমেনের কথা কাটাকাটি হলে মোমেন জামালের হাতে একটি পিস্তল দিয়ে রুবেলকে গুলি করে হত্যা করতে বলে। সে মোমেনের কাছ থেকে অবৈধ পিস্তলটি নিয়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টা ১২টার দিকে রুবেলের থুতনির নিচে গুলি করে। এতে মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে জামালকে ধরে আটক করে ফেলে এবং আহত রুবেলকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথিমধ্যে রুবেল মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গেলে লোকজন আটককৃত খুনি জামালকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।