Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদালতের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে প্রাচীর নির্মাণের কঅভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাগুরা জেলা সংবাদদাতা : শরিকের জমি জবরদখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন খুলনা দক্ষিণ জোনের পুলিশের উপ-কমিশনার আব্দুল্লাহ আরেফ। এ অভিযোগ তারই শরিকদের। তা ছাড়া উক্ত জমিতে আদালতের ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, যা তিনি উপেক্ষা করে পুলিশি হয়রানির ভয় দেখিয়ে নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন বলেও তাদের অভিযোগ। মাগুরা সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটছে। রেজাউল করিম লাল যিনি উক্ত ডিসি সাহেবের চাচা এবং মামলার বাদী অভিযোগ করেন, তার পৈতৃক ভিটার জমি পুলিশি ক্ষমতার জোরে অবৈধভাবে পুলিশ এবং এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বদর মিন্টুকে দাঁড় করিয়ে রেখে সীমানা প্রাচীরের কাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার মাগুরা আদালত থেকে ১৪৪ ধারায় সীমানা প্রচীর নির্মাণ বন্ধের নিষেধাজ্ঞা আদেশপত্র সদর থানায় পৌঁছালেও তা কালক্ষেপণ করে শনিবার দুপুরে জারি করা হয় বলে অভিযোগ। আর এর মধ্যে তার বডিগার্ড কনস্টেবল মামুনকে দাঁড় করিয়ে রেখে দ্রæতগতিতে কাজ চালানো হচ্ছে। এসপি আব্দুল্লাহ আরেফের আপন চাচা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফয়জুল কবির জানান, দশ বছর পূর্বে পৈতৃক জমাজমি আরেফের উপস্থিতিতে ভাগাভাগি করে সেই মোতাবেক সবাই যার যার অংশ ভোগদখল করছে। কিন্তু এসপি হওয়ার পর ক্ষমতার জোরে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সে জোরপূর্বক চাচাদের জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর করছে যা বেআইনি। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এসপি আব্দুল্লাহ আরেফের ফুলবাড়ী গ্রামের বাড়িতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে পুলিশ কনস্টেবল মামুন এবং এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত বদর মিন্টু মিস্ত্রিদের পাশে রয়েছে। ফুলবাড়ী গ্রামের মোস্তফা মুন্সী, মতিয়ার বিশ্বাস, নিজাম মোল্লা, আরব আলী শেখ ও ডাবলু মোল্লার সাথে কথা বললে তারা জানান, এসপি আরেফ এলাকার সাধারণ মানুষকে পুলিশি হয়রানির ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে। সীমানা প্রাচীর কাজ চলাকালীন হাজিপুর ক্যাম্পের পুলিশ এবং খুলনা থেকে মামুন নামের এক পুলিশ ঘোরাঘুরি করে। মাদক ব্যবসায়ী বদর মিন্টুকে সে তার কাজে ব্যবহার করছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজমুল হুদা জানান, ফুলবাড়ী গ্রামে আদালতের ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞা যথাসময়ে জারি করা হয়েছে। বাদীর কোনো অভিযোগ থাকলে আদালতকে অবহিত করবেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আরেফ জানান, তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম ফরাদের মৃত্যুর দীর্ঘদিন পার হলেও পৈতৃক জমাজমি চাচারা তাকে ভাগ করে বুঝিয়ে দেন না। তাই তার মা জমির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করলে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় তা বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিশি ক্ষমতা দেখানোর বিষয়টি সত্য নয় বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ