Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আনোয়ারার গ্রামীণ জনপদে নবদিগন্তের সূচনা

৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৩০ সেতু

| প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জাহেদুল হক, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় গ্রামীণ জনপদে ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৩০ সেতু। ইতিমধ্যে ১৬টি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আরও ১৪টি সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলছে। ফলে আনোয়ারা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নবদিগন্তের সূচনা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অ:দা:) মো. আবুল হোসেন জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বিগত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৬টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আরো ১৪টি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির নির্দেশনায় কঠোর নজরদারির মাধ্যমে সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলছে। যাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজে কোন ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নিতে না পারে। গত অর্থবছরে নির্মিত সেতুগুলো হচ্ছে বটতলী ইউনিয়নে একটি, বরুমচড়া ইউনিয়নে তিনটি, বারশত ইউনিয়নে দুইটি, পরৈকোড়া ইউনিয়নে পাঁচটি, রায়পুর ইউনিয়নে একটি, বারখাইন ইউনিয়নে একটি, বৈরাগ ইউনিয়নে দুইটি ও চাতরী ইউনিয়নে একটি। চলতি অর্থবছরে নির্মাণাধীন সেতুগুলো হচ্ছে হাইলধর ইউনিয়নে তিনটি, বরুমচড়া ইউনিয়নে একটি, বারখাইন ইউনিয়নে তিনটি, বৈরাগ ইউনিয়নে দুইটি, পরৈকোড়া ইউনিয়নে দুইটি, রায়পুর ইউনিয়নে দুইটি ও চাতরী ইউনিয়নে একটি। এসব নির্মাণাধীন সেতুর কাজ যত দ্রæত সম্ভব শেষ করার কথা রয়েছে। আর সেতুগুলো নির্মিত হলে আনোয়ারার যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের চেয়ে আরও সহজ হবে। এ ব্যপারে আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, সরকারিভাবে একটি উপজেলার জন্য বছরে মাত্র ২-৩টি সেতুর বরাদ্দ হয়। ভূমি প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের একান্ত প্রচেষ্টায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে মোট ৩০টি সেতুর জন্য ৬ কোটি ৬৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিগত অর্থবছরের ১৬টি সেতুর কাজ সমাপ্ত হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ১৪টি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। এসবের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে উপজেলার গ্রামীণ জনপদের যোগাযোগব্যবস্থা নতুন মাইলফলকের সূচনা হবে। পরিবর্তন আসবে জনগণের জীবনযাত্রায়। সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে কৃষক সমাজের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ