Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্কুল ভবন ভেঙে পড়ার ভয়ে কমছে শিক্ষার্থী উপস্থিতি

| প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কামরুল হাসান, কোটলীপাড়া (গোপালগঞ্জ) থেকে : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। উপজেলার নৈয়ার বাড়ি গ্রামে ১৩৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি খুবই ঝুঁকিপূূর্ণ হয়ে পড়ায় চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। চার বছর আগে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা এই ভবনটি যে কোন সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এই ভয়ে আভিভাবকরা তাদের শিশুদের স্কুলে পাঠাতে চাচ্ছেন না ফলে স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ব্যপক হারে কমে যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, ভবনটির ছাদে ও দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরছে এবং প্রায়শই শিক্ষার্থীদের মাথার উপরে পলেস্তার খসে পড়ছে। অফিস কক্ষ ছাড়া বাকি ৩টি কক্ষেরই কোন দরজা- জানালা নেই। জানা যায়, ১৯৯৪ সালে তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও ছোট একটি অফিসকক্ষ নিয়ে একতলা এই স্কুল ভবনটি নির্মিত হয়। বর্তমানে এই স্কুলে ১১৫জন শিক্ষার্থী এবং ৫জন শিক্ষক আছেন। বৃহৎ নৈয়ারবাড়ী গ্রামের বাসিন্দাদের এই একটি স্কুলই ভরসা। এছাড়া লখন্ডা গ্রামের একটি অংশের শিশুরাও এই স্কুলের শিক্ষার্থী। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দু বিশ্বাস জানান, চার বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কতৃক এই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় এরপর থেকে অনেকবার শিক্ষা কর্মকর্তারা স্কুল পরিদর্শনে আসলেও ভবনটির কোন সংস্কার হয়নি। স্কুলটি এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, কিছুদিন আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে পাঠদান করেছি কিন্তু এতগুলো শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিঘœ ঘটে তাই বাধ্য হয়ে এই আতঙ্কের মধ্যে দিয়েই নিয়মিত পাঠদান করে যাচ্ছি। স্কুলের সহকারী শিক্ষক কাশিনাথ হালদার জানান, আমাদের স্কুলের যোগাযোগ ব্যবস্থাও খুব খারাপ কোন রাস্তা না থাকায় বর্ষাকালে কোন শিক্ষার্থীই আর পায়ে হেঁটে স্কুলে আসতে পারে না। তাই স্কুল কর্তপক্ষ শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার জন্য নিজস্ব নৌকার ব্যবস্থা করে থাকে। স্কুলে কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী জানায় সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে আমাদের বই-খাতা ভিজে যায় ও ক্লাসের ভিতরে পানি জমে থাকে। স্কুল ভবনের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুল ভবনটি পুরোপুরি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। যতক্ষণ আমাদের শিশুরা স্কুলে থাকে ততক্ষণ আমাদের অভিভাবকদের এক অজানা আতঙ্ক তাড়া করে। স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি দুলাল বাড়ৈ বলেন, স্কুলটি এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে কোন সময় একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পাড়ে তাই আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, যাতে শীঘ্রই একটি নতুন স্কুল ভবন তৈরি করে দেয় যাতে আমাদের কোমলমতি শিশুরা নির্ভয়ে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ