Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

গোপনে সরকারি জলমহাল ইজারা, মৎস্যজীবীরা ক্ষুব্ধ

| প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা মৎস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই একটি স্বার্থান্বেষী মহলের যোগসাজসে গোপনে কাগজপত্র তৈরি করে ৩টি সরকারি জলমহাল নামমাত্র মূল্যে ইজারা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সরকারি রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি প্রকৃত মৎসজীবীরা বঞ্চিত হওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগে জানা গেছে, সরকারি জলমহাল ইজারার ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার নিয়ম থাকলেও উপজেলা মৎস্য অফিসার (অঃ দাঃ) রায়হান উদ্দিন সরদার উপজেলার একটি স্বার্থান্বেষী মহলের যোগসাজসে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে গোপনে কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলার প্রেম সাগর (বছর ৫৭ হাজার টাকা) নয়ার ছড়া (বছর-৭৫ হাজার টাকা) ও ছাইতন তলার ডারা (বছর-১৬ হাজার ৪শ টাকা) নামের ৩টি বিশাল আয়তনের সরকারি জলমহাল নামমাত্র মূল্যে সরকার দলীয় লোকদেরকে ইজারা প্রদান করেন। স্থানীয় একটি পত্রিকায় ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ওই পত্রিকার সমুদয় কপি কিনে নিয়ে বাক্সবন্দি করেন রাখেন তিনি। নোটিশ বোর্ডে নোটিশও টাঙানো হয় ইজারা প্রদানের পরে। উপজেলার মৎসজীবী সমবায় সমিতিগুলো যাতে জানতে না পারে সেজন্য কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে তার পছন্দের ফুলবাড়ী মৎসজীবী সমবায় সমিতি, ফুলবাড়ী দিশারী মৎসজীবী সমবায় সমিতি ও পানিমাছকুটি মৎসজীবী সমবায় সমিতিকে গত বছরের চেয়ে সামান্য বর্ধিত মূল্যে ইজারা প্রদান করা হয়। প্রকাশ্যে ইজারা প্রদান করা হলে বর্তমান মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্য পাওয়া যেত বলে মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করেন। ইজারা প্রদানের বিপরীতে উক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মোটা অংকের উৎকোচ নেয়ারও অভিযোগ করেন তারা। কাশিপুর নবদিগন্ত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি এরশাদুল হক ও গোরক মÐল রংধনু মৎসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আয়নাল হক বলেন, বিগত বছরগুলোতে চিঠি দিয়ে সমিতিগুলোকে জানানো হতো। কিন্তু এবছর মৎস্য অফিসার টাকা খেয়ে গোপনে টেন্ডার করেছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিঃ দাঃ) রায়হান ঊদ্দিন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা যদি মনে করেন ইজারা গোপনে হয়েছে, তাহলে তাই। আর যদি মনে করেন প্রকাশ্যে হয়েছে, তাহলেও তাই। সব উপরের নির্দেশে হয়েছে, আমি কিছু করিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা জলমহাল ইজারা কমিটির সভাপতি দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও জানান, মৎস অফিসার কাগজপত্র নিয়ে এসে আমার কাছে স্বাক্ষর নিয়েছেন। এর বেশি আমি কিছু জানি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ