রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জনগুরুত্বপূর্র্ণ গ্রামীণ পাকা সড়কগুলোর মধ্যে কলারোয়া-সরসকাটি সড়কটি বেহালদশায় পরিণত হয়েছে। এটি যেন একটি মরণফাঁদ। কলারোয়া বাজার থেকে পশ্চিম দিকে বেত্রাবতী নদী পার হয়ে বামনখালী বাজার হয়ে সরসকাটি বাজার পর্যন্ত মোট ৯ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কোন সংস্কার না হওয়ায় ভেঙে চুরে নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জনগণ চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। সড়কটি সড়ক বিভাগের আওতাধীন থাকায় সংস্কার হচ্ছে না। এই রাস্তার পার্শ্বে দুইটি ইটভাটা থাকায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ছে সাধারণ মানুষ। স্ত‚পকৃত ইটভাটার মাটি রাস্তার উপর পড়ে হাঁটু কাঁদায় পরিণত হয়েছে। কার্পেটিংয়ের পাকা রাস্তা হলেও পিচের নমুনা ৯ কিলোমিটরের মধ্যে প্রায় ৮ কিলোমিটার নেই। রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গা বড় বড় খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন দুই একটি নছিমন, ইজিবাইক ও ভ্যান উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর ছোটখাটো সড়ক দুর্ঘটনা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই রাস্তাটি সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরি ও সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি এখনই সংস্কার করা না হলে বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগী তো বটে, জনদুর্ভোগের আর সীমা থাকবে না। জরুরি অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার ব্রিগ্রেডের গাড়ি যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছে না। এদিকে কপোতাক্ষ নদের উপর সরসকাটি ব্রিজ হওয়ায় সড়কটি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাথে সংযুক্ত রয়েছে। বিধায় দুই উপজেলার প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ মানুষের কলারোয়া ও কেশবপুর যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা এই সড়কটি। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনি শত শত ট্রাক, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এমনকি কলারোয়া থেকে সরসকাটি পর্যন্ত রাস্তাটির দু’পাশে দুটি কলেজসহ কয়েকটি হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় কয়েক’শ শিক্ষকসহ হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর চলাচলে প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। অল্প সময়ের পথ পাড়ি দিতে দীর্ঘ সময় লাগছে। সংস্কারের অভাবে বর্তমানে যান চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। তাই সড়কটি সংস্কার করা ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষসহ বিভিন্নœ এলাকার মানুষের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। একান্ত বাধ্য হয়ে যাতায়াত করলেও তাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। রাস্তাটি এখন যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে আরো দেখা যায়, কলারোয়া-টু-সরসকাটি সড়কে কলারোয়া পৌর সদরের বেত্রাবতী নদী পার হয়ে কলাগাছি মোড় হয়ে জালালাবাদ মোড় পর্যন্ত, হামিদপুর মোড় এলাকা, ভাই ভাই ইটভাটা থেকে বামনখালী বাজার হয়ে বৈদ্যপুর মোড় পর্যন্ত এবং ওফাপুর মোড় থেকে সরসকাটি বাজারের ব্রিজের মাথা পর্যন্ত সড়কে খানা-খন্দক, গর্ত, ভাঙন এত বেশি পরিমাণ যে, যান চলাচল তো দূরের কথা হাঁটা চলাও ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীরা জানান, এই সড়কটিতে কয়েক বছরে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। ব্যস্ততম এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে বিভিন্ন এলাকার মানুষের ভীষণ কষ্টভোগ করতে হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা যখন কলারোয়া হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসে তখন রাস্তার বেহালদশার কারণে তাদের আকুতি-মিনতি দেখে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কলারোয়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী জানান, কলারোয়া-সরসকাটি সড়কটি সড়ক বিভাগের আওতাধীন থাকায় সংস্কারের বিষয়টি এলজিইডির আওতায় আসে না। বিধায় আমরা সংস্কার করতে পারছি না। তবে কলারোয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি যাতে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হয় এমন আশা ভুক্তভোগী জনগণের সাথে তিনিও মত ব্যক্ত করেন। এলাকাবাসীর কয়েকজন আক্ষেপ করে বলেন, নদীর পূর্ব পাশের ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় চলাচল করলেও তারা যেন এ দৃশ্য দেখেও দেখেন না। তারা জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, সড়কটি সাতক্ষীরা ও যশোর সীমান্তে হওয়ায় একটি প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবুও আমরা যত দ্রæত সম্ভব সংস্কার করার জন্য চেষ্টা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।