Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়াবাড়ি মেনে নেয়া যায় না

| প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হোলি উৎসব কেলেঙ্কারির মাধ্যমে এদেশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার চক্রান্তপ্রতিহত করতে হবে -ইসলামী নেতৃবৃন্দ
স্টাফ রিপোর্টার : হিন্দু সম্প্রদায়ের হোলি উৎসব নিয়ে বাড়াবাড়ি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। হোলি উৎসবে মুসলমান যুবক-যুবতি এবং বোরখা পরিহিতদেরও জোর করে নাজেহাল করা এবং অসৌজন্যমূলক ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাও: মাহফুজুল হক গতকাল পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ করেছেন। তারা বলেন হিন্দু ধর্মীয় উৎসব এবং সংস্কৃতি সার্বজনীন হতে পারে না। ধর্মীয় উৎসব ও সংস্কৃতি স্ব স্ব ধর্মের লোকদের জন্য নির্ধারিত। হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান অন্য ধর্মের মানুষের উপর প্রযোজ্য নয়। হোলি উৎসব নিয়ে যে কেলেঙ্কারির জন্ম দেয়া হয়েছে তা মেনে নেয়া যায় না। এরূপ চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
হিন্দুদের হোলি উৎসবে মুসলিম নারীদের চেহারায় জোর করে রঙ মাখিয়ে দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হোলি উৎসব হিন্দু ধর্মালম্বীদের নিজস্ব ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসবে রাস্তা ঘাটে মুসলিম নারী পুরুষসহ হিযাবদারি নারীদের জোর করে রঙ মাখানো হয়েছে। এটা ধর্মীয় উৎসবের নামে ধর্মীয় সন্ত্রাস। মুসলমানরা সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বজায় রেখে মুসলমানদের ধর্মীয় কোনো উৎসবে অন্য স¤প্রদায়কে শরিক করে না এবং করার কোনো বিধানও নেই। হোলি উৎসবের নামে যারা রঙ মাখিয়ে তাদের সাংস্কৃতির সাথে এদেশের মুসলিম তরুণ-তরুণীদেরকে বেলেল্লাপনা ও বেহায়াপনায় বাধ্য করে তারা এদেশকে হিন্দুয়ানী রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত করছে। ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে তা কোনো ভাবেই সহ্য করা যায় না। যারা জোর করে মুসলিম নারীদের রঙ মাখিয়েছে তাদের সনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। যাতে করে এধরনের অরুচিপূর্ণ কর্মকাÐ পরিচালনা করার সাহস না পায়।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বসবাসের এদেশে সার্বজনীন কোনো ধর্মীয় উৎসব বা ধর্মীয় সংস্কৃতি হতে পারে না। এরপরও সার্বজনীন নামে যারা বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব অথবা ধর্মীয় সাংস্কৃতিতে জোর করে অন্য ধর্মের লোকদের সম্পৃক্ত করার অপচেষ্টা করে অথবা বাধ্য করে তাদের প্রতিহত করতে হবে সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে। তিনি বলেন, কোনো মুসলমানের জন্য জায়েজ নেই অন্য ধর্মের উৎসবে নিজেদেরকে শরিক করা এবং তাদের রঙে নিজেদের রাঙানো। ইসলাম এসেছে এ সকল ভিন্ন ধর্মের সংস্কৃতি কুসংস্কারকে পরিত্যাগ করার জন্য। তাই হোলি উৎসবের সংস্কৃতির অপচর্চা এবং মঙ্গল শোভযাত্রার নামে মূর্তির শোভাযাত্রা প্রতিহত করতে মুসলমানদেরকে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে কতিপয় হিন্দু যুবক-যুবতীর অতি বাড়াবাড়ি আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ গতকাল এক বিবৃতিতে একথা বলেন। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আচার-আচরণ, হোলি খেলার নামে মুসলিম তরুণ-তরুণীদের নাজেহাল করা এবং গায়ে হাত দিয়ে অসভ্য আচরণ অসনী সঙ্কেত। ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে কতিপয় সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের এসব ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আঘাত নেয়া যায় না। তাদের এই আচরণ দেশে হিন্দুত্ববাদের পদধ্বনি বলে মনে হয়। হোলি খেলার নামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এহেন আচরণ বন্ধ না করলে সারাদেশে মুসলমানরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে। হোলি খেলা হিন্দুদের উৎসব হতে পারে। তাদের এই অশ্লীল উৎসবের সাথে মুসলমানদের জড়িয়ে যে নোংরামির পরিচয় দিয়েছে তাতে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধিয়ে দেশকে অশান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চক্রান্ত বলেই মনে হচ্ছে।



 

Show all comments
  • এস, আনোয়ার ১৬ মার্চ, ২০১৭, ৭:৪৪ এএম says : 0
    অস্থির হবার কোন কারন নেই। সবেতো শুরু। এখনোতো ঘাঁড় ধরে দেবীর পায়ে মাথা ঠেকাতে বাধ্য করা হয়নি। তবে সে দিকেই এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপরের ইচ্ছায়। দেখা যাক্ কি হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • M ১৬ মার্চ, ২০১৭, ১১:৫৩ এএম says : 0
    Allah musolmander hefajot korun
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ