বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মহসিন রাজু , বগুড়া থেকে : টিএমএসএস এর উজ্জীবিত প্রকল্পের সহযোগীতায় ঝিয়ের কাজ করা তানজিলা এখন শিক্ষার্থী। সম্প্রতি তাকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন টিএমএসএস উজ্জীবিত প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ।
৯ বছরের শিশু তানজিলার বাড়ি সিরাজগঞ্জ শহরতলির কান্দাপাড়া গ্রামে। দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার পর দারিদ্রতার কারণে তিন বছর ধরে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। গৃহকর্তার অমানুষিক নির্যাতনের কারণে ১ বছর হল ঝিয়ের কাজ ছেড়ে নিজ বাড়িতে চলে আসে। এখন মায়ের সাথে অপরের বাড়িতে ছোটখাট কাজ করে। দিনমজুর বাবার আয় দিয়ে চার জনের সংসার আর চলছে না। “সংসার চালাইতে পারব না কি করুম তাই গেদিডারে (মেয়ে) মানষের বাড়িতে কাজে দিছিলাম। এহন বুুজতাছি কি বুল (ভুল) করছি। এহনতো এরে স্কুলে ভর্তি লয় না” বলেন তানজিলার মা হাসি বেগম (৩২)। এ কথা শুনার পর টিএমএসএস এর উজ্জীবিত প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার আনজু আরা পুনরায় তাকে স্কুলে ভর্তি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। গত মঙ্গলবার পিকেএসএফ এর উজ্জীবিত উপ-প্রকল্প সমন্বয়কারী মাহবুবুরর রহমান সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসার আব্দুস ছালেক এর সহযোগিতায় মেয়েটিকে পুনরায় কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করান। প্রধান শিক্ষক উম্মে সালমা এ মহতী উদ্যোগটিকে তার শিক্ষকতা জীবনের স্বরণীয় ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে মেয়েটির হাতে এক সেট নতুন বই তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিএমএসএস এর জোনাল ম্যানেজার আব্দুর রশিদ, বজুলুর রশিদসহ শতাধিক শিক্ষাথী। স্কুলের সকল শিক্ষকগণসহ সকল উপস্থিতি মেয়েটিকে নিয়মিত স্কুলে পাঠানোর জন্য মাকে শপথ করান এবং সহপাঠীদের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন। তোমার এখন কেমন লাগছে প্রশ্ন করলে তানজিলা এক নিঃশ্বাসে বলে “ খুব বালা লাগতাছে। কালকে থেকে আবার ইস্কুলে যামু আর মানষের বাড়িতে কাম করা লাগবো না’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।