Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন চেয়ারম্যান নিয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কে

| প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

উন্নয়নের নামে নরসিংদী জেলা পরিষদের ৩ শর্ত প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : নরসিংদী জেলা পরিষদের অভ্যন্তরে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উন্নয়ন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের টাকা ভাউচারে খরচ করা হচ্ছে। ভূয়া ভাউচার দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিগত ৫ বছরে জেলা পরিষদের উন্নয়নের নামে কমবেশী অর্ধশত কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসকের অসুস্থতা ও বিশ্বাসের সুযোগে বিগত ৫ বছরে এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ঠিকাদাররা পারস্পরিক যোগসাজসে এসব সরকারী অর্থ লোপাট করেছে। ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে পরিষদের সভায় গৃহীত ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অনুমোদিত কমবেশী ৩ শত প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। এসব প্রকল্প সমূহের মধ্যে বেশীরভাগ প্রকল্পের কাজেই ব্যাপকভাবে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে গৃহীত ৮৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ৫৫টি প্রকল্প নামে মাত্র কাজ দেখিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এসব প্রকল্প সমূহে ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ঠিকাদারদের পকেটে গিয়েছে বলে জানা গেছে। আর এই আত্মসাৎ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে জেলা পরিষদের সংশিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও ঠিকাদাররা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছে। তারা বলাবলি করছে নতুন চেয়ারম্যান চেয়ারে বসে যদি এসব প্রকল্পসমূহের কাজ পরিদর্শন করেন তবে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুর রহমান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো শত ভাগ কাজ মোটামুটি নিশ্চিত করেই বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনেক প্রকল্পের কাজ হয়নি বলে স্বীকার করেন। ঠিকাদাররা কাজ নিয়ে কাজ করেননি। তবে কাজ না করে বিল নিয়েছে এমন ঘটনা ঘটেনি। জেলা পরিষদের নিজস্ব কতগুলো কাজ হয়নি, কিন্তু টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এমন বিষয়ে তিনি বলেন, কাজ হয়নি ঠিক আছে, কিন্তু টাকাও উঠানো হয়নি। কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের জন্য ১০ লাখ টাকার প্রকল্পের টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু জায়গার অভাবে ল্যাব স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ