Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৃষ্টিতে বেতাগীর মরিচ মুগ ডাল ও টমেটো চাষিদের মাথায় হাত

| প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নূরুল ইসলাম, বেতাগী (বরগুনা) থেকে : বেতাগীতে বঙ্গোপ সাগরের লঘুচাপের প্রভাবে চার দিনের টানা বৃষ্টিতে উপক‚লীয় এ জনপদে রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে চাষিদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত চার দিনের বর্ষণে রবিশস্যের সর্বনাশ হয়েছে। প্রায় ক্ষেতেই তিন থেকে চার ফুট বৃষ্টির পানি জমে তলিয়ে যায়। গাছের শিকড় পচে পাতা ও কাÐ নেতিয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তিল, শাকসবজি, মুগডাল, চিনা বাদাম,সূর্যমুখী চাষিদের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এছাড়াও মরিচ, গোল আলু, খিরাই ও খেসারিসহ অন্যান্য রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এদিকে কৃষকরা তিল ফসলের ক্ষতির পরিমাণ শতভাগ বলে জানান। এতে সরকারিভাবে টাকার হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ ১১ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ উপজেলায় বিভিন্ন রবিশস্যের আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৯৭০ হেক্টও জমিতে। এর মধ্যে মুগ ৪ হাজার ৫০, খেসারি ৩ হাজার ৫০০, মরিচ ৬০০, মিস্টি আলু ৫০০, শাকসবজি ৪৫০, বাদাম ১২০ হেক্টর ও বাকি জমিতে অন্যান্য রবিশস্যের আবাদ হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কৃষকদের সব আশা শেষ হয়ে গেছে। পানির নিচে তলিয়ে থাকার পর বৃষ্টির পানিতে বর্তমানে মরিচ গাছগুলো মরে যাচ্ছে। ক্ষেতের আলু, টমেটো পচে গেছে। খোদ বেতাগী পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. কামরুল ইসলাম জানান, তিনি ৪ একর জমিতে মুগডাল, মরিচ, চিনাবাদাম, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া ও সূর্যমুখী আবাদ করেছিলেন। ফসল ঘরে তোলার আগে তার অধিকাংশই শেষ হয়ে গেছে। পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, বর্ষণে তার সব আশা নিভে গেছে। শুধু এরাই নয়, একইচিত্র বেতাগী পৌরসভার ফরিদ হাওলাদার, মেহের গাজী, করুনা গ্রামের নাসির উদ্দিন, জাকির হোসেন মাতুব্বর, কাজিরাবাদের মনির হোসেন, মন্টু হাওলাদার, সরিষামুড়ির আব্দুর রহিম, আব্দুল কাদের, কেওড়া বুনিয়ার মো. সোহেল, মো. আলীম, কাউনিয়ার আব্দুল জব্বার, শাহ আলম পÐিত ও আব্দুল খালেকের। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, এখানে রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মাঠ থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। প্রকৃত চিত্র পেতে আরো সময় লাগতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ