রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের শাহেদাগোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠনে ব্যাপক দুনীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নবগঠিত এ কমিটি বাতিলের দাবিতে গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই স্কুল মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী আজগরের সভাপতিত্বে মানবন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম শাহজাহান, আব্দুল ওয়াদুদ সওদাগর, হাজী আব্দুর রাজ্জাক ব্যাপারী, হাজী আব্দুল ওয়াদুদ, হাজী জয়নাল আবেদীন, মোস্তাক আহমেদ, শরিফ আহম্মেদ, মিজানুর রহমান, ডাক্তার নাজিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম পুলিশ, নজরুল ইসলাম, আবুল কাশেম ও জাকির হোসেন প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কমিটির সভাপতি আলী আজগরসহ সকল সদস্যদের বাদ দিয়ে কেনু মিয়া মাষ্টারের নেতৃত্বে ছোট ভাই রকিব উদ্দিন ও নাত বউ হেপী আক্তারকে অভিভাবক সদস্য, মেয়ের জামাই জসিম উদ্দিন ভ‚ঁইয়াকে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে রেখে শাহেদাগোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পকেট কমিটি গঠন করে। নবগঠিত কমিটির সভাপতি কেনু মিয়া মাষ্টারের বিরুদ্ধে কমিটির সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান ও অভিভাবক সদস্য হেপী আক্তারের স্বাক্ষর জ্বাল করারও অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের দাতারা সকলে সম্মিলিত ভাবে সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম শাহজাহানকে দাতা সদস্য হিসেবে কমিটিতে রাখার কথা লিখিত ভাবে জানানো হলেও রহস্যজনক কারণে তাকে রাখা হয়নি বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। গঠিত পকেট কমিটিকে বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক একেএম জাকির হোসেন, শিক্ষক সমিতির জনৈক নেতা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কতিপয় কর্মকর্তারা সহায়তা করেছেন বলেও বক্তারা অভিযোগ করেছেন। বক্তারা আরো বলেন, কমিটি গঠনের লক্ষে কোন প্রকার নিয়ম না মেনেই কেনু মিয়া মাষ্টার প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের পকেট কমিটি গঠন করে। অধিবেশন বহিতে দেখা যায়, কমিটি গঠনের সভা অনুষ্ঠিত হয় দুপুর আড়াইটায়। কিন্তু ওই দিনই সকাল ১০টায় কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অধিবেশনে উল্লেখ করা হয়। এতে কমিটিতে রাখা ১১ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারোর উপস্থিতির স্বাক্ষর নেই। মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুব আলম এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে শিক্ষা কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে ওই কমিটি বাতিল করা হবে। অপর দিকে নবগঠিত কমিটির সভাপতি কেনু মিয়া মাষ্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্ত বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।