Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সামান্য বৃষ্টিতে কাদাপানিতে একাকার সড়কে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ

| প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো. মোশাররফ হোসেন, নীলফামারী থেকে : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ শহরে প্রবেশের মূল গেটের সামনে থেকে উপজেলা পরিষদের মূল গেট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা খানা-খন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলে ওই এলাকাগুলো কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। সূত্র মতে, ১৯৯৭ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে সড়কটির সংস্কার করার পর থেকে অদ্যাবধি আর কোন সংস্কার না করায় সড়কটি বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব খানা-খন্দকের ফলে রাতের বেলা বিভিন্ন নৈশ কোচ উপজেলা শহরে প্রবেশ করলে শুরু হয় তীব্র যানজট। প্রায় ২০ বছর থেকে সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় প্রতি নিয়ত খানা-খন্দকে বিভিন্ন পরিবহন পড়ে গিয়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে সামান্য বৃষ্টি হলে সাধারণ খেটে খাওয়া ভ্যান চালকদের পড়তে হয় নানান ধরনের বিড়ম্বনায়। প্রতি নিয়ত ভ্যান চালকদের ভ্যান রাস্তায় পানি জমে থাকার ফলে গর্ত বুঝতে না পেরে ভ্যানের চাকা গর্তে পরে ভ্যানের রিং, ষ্পোক, এক্সেলসহ ভ্যান উল্টে যাত্রীদের আহত হওয়ার ঘটনা এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কটির বেহালদশা হওয়ায় পরিবহন মালিকেরা কিশোরগঞ্জ সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। এজন্য কিশোরগঞ্জ থেকে নীলফামারী ও রংপুরে যেতে যাত্রীরা বিকল্প পরিবহন হিসাবে বেঁচে নিয়েছেন ব্যাটারী চালিত অটো, সিএনজিসহ অন্যান্য ছোট ছোট পরিবহন। কিশোরগঞ্জ সড়ক থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে অন্য সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন এমন একজন বাসের ড্রাইভার দুলাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ সড়কে গাড়ি চালালে পরিবহন খরচ উঠে না। রংপুর থেকে নীলফামারী প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তা যেতে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে ২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হলেও নীলফামারী থেকে রংপুর যেতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। ফলে শ্রমিক অফিস আমাদেরকে টিপ মারতে দেয় না। আবার রাস্তা খারাপ হওয়ায় তেল খরচও বেশি হয় যা দিয়ে পেট চলে না। অপর দিকে বাবা-মায়ের দোয়া পরিবহনের মালিক মোফাখখারুল ইসলাম জানান, কিশোরগঞ্জ সড়কে গাড়ি চালালে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয় বেশি। খানা-খন্দকে পড়ে গাড়ির জানালার গøাস ও বডিসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়। প্রতি সপ্তাহে যে পরিমাণ সার্ভিসিং খরচ হয় তা গাড়ির টাকা দিয়ে উঠে না। আবার সড়কের উপরে চলছে ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা সে কারণে লোকাল সড়কে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। কিশোরগঞ্জ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাবুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, কিশোরগঞ্জের সড়কের বেহালদশা দেখে বাহির থেকে কোন ব্যবসায়ী কিশোরগঞ্জে ব্যবসা করতে আসে না। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম জানান, আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নীলফামারী নির্বাহী প্রকৌশলীকে কিশোরগঞ্জ থানা মোড় থেকে উপজেলা পরিষদের সামনে পর্যন্ত সড়কটির দ্রæত কাজ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। নীলফামারী সড়ক ও জনপথের নীলফামারী প্রকৌশলী হামিদুর রহমান জানান, আমি নতুন এসেছি রাস্তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ