রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : করতোয়া নদীর ধার ঘেঁষে রংপুরের পীরগঞ্জ ও দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এবং নবাবগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকায় পৃথক কয়েকটি স্থানে জুয়া খেলা চলছে। এই ৩ উপজেলার জুয়াড়ীরা কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে ঢাকঢোল পিটিয়ে ওই জুয়ার আসরগুলো চালাচ্ছে। ফলে ওইসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে। পারবোয়ালমারী নামক স্থানে দীর্ঘদিনের চলমান জুয়ার আসর বন্ধ করতে গিয়ে গত ৬ মার্চ রাতে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মিজান ও ডিবির ওসি মারাত্মক আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ কর্মকর্তাদ্বয় আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও দিনাজপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলাও হয়েছে। তার পরেও পুলিশকে ম্যানেজ করেই চালানো হচ্ছে জুয়ার আসর। অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার টুকুরিয়া, বড় আলমপুর ও চতরা ইউনিয়নের ধার ঘেঁষে প্রবাহিত করতোয়া নদীর টুকুরিয়া ইউনিয়নের দুধিয়াবাড়িতে জুয়াড়ি নেতা আব্দুর রহিম, বড় আলমপুর ইউনিয়নের ষোল ঘরিয়া উচা পাড়ায় জুয়াড়ি নেতা আতোয়ার রহমান ও সাজু মিয়া এবং শিমুলবাড়ী-রামনাথপুরে জুয়াড়ি নেতা আকবর আলীর নেতৃত্বে পুলিশের সাথে আঁতাত করে ওই জুয়া খেলা চালাচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, প্রতিদিন দুপুর পরপরই বর্ণিত স্থানসমূহে জুয়ার আসর বসানো হয় এবং তা গভীর রাত পর্যন্ত চলে। ওই জুয়ার খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ। অনেকেই জমিজমা শেষ সম্বল বিক্রি করেও জুয়া খেলায় মেতে উঠেছে। দূর-দূরান্ত থেকে আগত জুয়াড়িদের মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের উপস্থিতিতে এলাকাগুলো মুখরিত হয়ে ওঠে। দেখে মনে হয় যেন মোটরসাইকেলের প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এলাকাবাসী ছাড়াও জুয়ার সাথে সম্পৃক্ত একাধিক জুয়াড়ি জানায়, করতোয়া নদী জুয়ার জন্য আশীর্বাদ। প্রায় ৩০ বছর ধরে করতোয়া নদীর ধার ঘেঁেষ কখনও রংপুরের ও কখনও দিনাজপুরের সীমানায় জুয়ার আসর বসানো হয় প্রশাসনিক কৌশলগত কারণেই। এছাড়াও খালাশপীর, মাদারগঞ্জ হাটে পৃথক দু’টি করে ঘরে, চতরায়, গুর্জিপাড়া হাটে পৃথক ৩টি করে ঘরসহ মোট ১০টি ঘরে ৩ তাসের জুয়া খেলা চলে রাতভর। রাত গভীর হলে ওইসব ঘরে বসে রঙিন পানির জলসা। এ ব্যাপারে জুয়াড়ি আকবর হোসেনের সাথে কথা হলে সে দম্ভ করে বলে পুলিশসহ সবাইকে ম্যানেজ করেই আমি জুয়া খেলা চালাই। জুয়াড়ি আব্দুর রহিমও বলে ভাই খুঁটির জোরে সব কিছইু হয়। জুয়াড়ি আতোয়ার রহমান বলেন, এপারে নয় সব ম্যানেজ করেই জুয়া খেলা চালাই নদীর ওপারে। টুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মÐল বলেন, আমার ইউনিয়নে নয় জুয়া খেলা হয় নবাবগঞ্জের সীমানায় নদীর চরে। বড় আলমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, ভাই জুয়াড়িদের সাথে পারা যায় না। এপারে বাধা দিলে ওপারে যায়। ওপারে বাধা দিলে এপারে আসে। মদনখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছামছুল আলম বলেন, এগুলো বলে লাভ কি ভাই? কে শোনে কার কথা? এ ব্যাপারে উল্লেখিত ৩ থানার ওসি তাদের স্ব-স্ব থানা এলাকায় কোন জুয়া খেলার আসর চলে না বলে দাবি করে বলেন, ভাই এপারে নয় খেলা চলে নদীর ওপারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।