পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719112827](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গুলশানের হলি আর্টিজানের হামলার ঘটনায় আইএস নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স অ্যান্ড টেরোরিজম রিসার্চের (আইসিপিভিটিআর) পরিচালক রোহান গুনারত্মের দেয়া বক্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে পুলিশপ্রধানদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, গুলশান হামলা বিষয়ে তার (গুনারত্মে) বক্তব্য পুলিশ সমর্থন করে না। তিনি কোনো পুলিশ কর্মকর্তা নন। তিনি শিক্ষাবিদ, গবেষক। তার বক্তব্য সমর্থন করি না। গুনারতেœ তার নিজের মতো করে বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তার কথার মধ্যে বাস্তবতার সঙ্গে মিল থাকতে হবে। গুনারত্মে যাদের আইএস বলেছেন, আমরা তাদের অনেককেই ধরেছি। এখন পর্যন্ত তাদের একজনও স্বীকার করেনি তারা আইএস। তারা বলেছে, জেএমবির বিভিন্ন শীর্ষ নেতার অনুসারী তারা। যারা মারা গেছে, তাদের স্বজনরাও কখনও বলেননি, তারা আইএসের সদস্য। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে তাদের বিচরণ থাকতে পারে। সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
এর আগে গত রোববার একই সম্মেলনে রোহান গুনারত্মে বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়েছিল আইএস, দেশীয় জঙ্গিরা নয়। দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব হামলাকারীদের প্রসঙ্গে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। বাংলাদেশে আইএসের উত্থান হয়েছে জেএমবি থেকে। কিন্তু তারা নিজেদের আইএস বলছে এবং সিরিয়া ও ইরাকের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের প্রভাবিত করেছে। হামলাকারী দলটিকে জেএমবি বলা এবং তাদের হোম গ্রোন বা দেশীয় বলা ভুল। যে গোষ্ঠীটি হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়েছে, তারাই ইতালি ও জাপানের নাগরিককে হত্যা করেছে। এই মতাদর্শের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির কোনো মিল নেই। এই মতাদর্শ বিদেশি। তারা হলি আর্টিজানে হামলার ধরন দিয়ে নিজেদের পরিচয় দিয়েছে। রোহানের প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরভিত্তিক আইসিপিভিটিআর গত বছরের ১ জুলাই ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজানের হামলার ঘটনা ও পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে।
রোহান গুনারতেœর এ ধরনের বক্তব্য প্রসঙ্গে আইজিপি আরো বলেন, বিভিন্ন সময়ে অভিযানে এত লোক মারা গেল কিন্তু আইএস বলেনি নিহতরা বা তাদের পরিবারের সদস্য। আমরা বলি, তারা দেশীয় টেরোরিস্ট। তবে আইএস ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। আইএসের দর্শন তারা বিশ্বাস করতে পারে। কিন্তু আমরা এমন কোনো প্রমাণ পাইনি। রোহান সাহেব যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমরা সমর্থন করি না। এরই মধ্যে আমরা ভিয়েতনাম ও ব্রæনাইয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেছি। সেখানে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রæনাইয়ের প্রস্তাব ছিল, তারা আমাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রাখতে চায়। যেন সরাসরি যে কোনো সমস্যার কথা উপস্থাপন করতে পারে। ভিয়েতনাম জোর দিয়েছে মানবপাচার ও মাদকের ওপর। আজ মঙ্গলবার আরো কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করব। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বৈঠক করব।
পুলিশ মহাপরিদর্শক জানান, সম্মেলনে অংশ নেয়া দেশগুলো অভিমত দিচ্ছে। ইনটেলিজেন্স, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে যেসব চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো দ্বিপাক্ষিকভাবে কিভাবে সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা প্রশিক্ষক ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে চায়। দক্ষিণ কোরিয়াও লজিস্টিক সব বিষয়ে বাংলাদেশের পুলিশকে সাপোর্ট দিতে চায়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কিভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।