বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা : সুন্দরবনের জলদস্যুদের অন্যতম জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়াসহ চারজনকে আটক করেছেন খুলনা র্যাব ৬ এর একটি দল।
সোমবার ভোরে বনের কাঠেশ্বর এলাকায় বন্দুক যুদ্ধের পর তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ জলদস্যু জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৭), তার বাহিনী সদস্য মিন্টু গাজী (৩২), মাসুম বিল্লাহ (২৪) ও ইউনুচ আলী পঁচা (২৫)। জিয়া, মিন্টু ও মাসুম বিল্লাহ’র বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা গ্রামে। আর ইউনুচ আলী পঁচা’র বাড়ি একই উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে।
খুলনা র্যাব ৬ এর লবনচরা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এ এম এম জাহিদুল কবীর জানান, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে খ্যাত সুন্দরবন প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বনাঞ্চলকে কেন্দ্র করে জেলে, মাওয়ালী থেকে শুরু করে নানা পেশাজীবী মানুষের বসবাস। সুন্দরবন এলাকায় জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা, ডাকাতি ও দস্যুতা দমনের জন্য সরকার কর্তৃক একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যার সভাপতি র্যাব এর মহাপরিচালক। টাস্কফোর্সের আওতায় র্যাব-৬ খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার সুন্দরবন এলাকায় জলদস্যু ও বনদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এসব এলাকায় যে দুর্ধর্ষ বাহিনীগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ জলদস্যুতা চালিয়ে আসছে, তাদের মধ্যে জলদস্যু জিয়া বাহিনী অন্যতম। এই বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে র্যাব-৬ এর ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার (১৩ মার্চ) ভোর রাতে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাঠেশ্বর ফরেস্ট ক্যাম্প এলাকায় র্যাব অভিযান শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৬, সিপিসি-১ এর একটি চৌকস দল ভোর ০৬.১৫ মিনিটে লে. এ এম এম জাহিদুল কবীর ও এএসপি মো. বজলুর রশীদ এর নেতৃত্বে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন কাঠেশ্বর ফরেস্ট ক্যাম্পের সামনে কাঠেশ্বর খালের পশ্চিম পাড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ জলদস্যু জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৭), সহ মিন্টু গাজী (৩২), মাসুম বিল্লাহ (২৪), ইউনুচ আলী পঁচাসহ (২৫) চারজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশী তৈরি একনলা আগ্নেয়াস্ত্র (ওয়ান শুটার গান), দুটি দেশীয় তৈরি একনালা পাইপগান , ১৯ পিস বন্দুকের তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, অভিযানের সময় আরো ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা জলদস্যু গভীর সুন্দরবনে পালিয়ে যায়। আটককৃতদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুন্দরবন এলাকা হতে জলদস্যু/ডাকাত গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার পূর্বক তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং এ ধরণের গ্রেফতার অভিযান ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।