রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কচুয়া (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : কচুয়া উপজেলায় বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে কয়েকশ একর জমির আলু। এতে নিঃস্ব হয়ে গেছে শত শত কৃষক। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কৃষকদের সাথে দেখা করলেও সান্ত¦না ছাড়া কোনো প্রতিশ্রæতি দিতে পারছে না। অপরদিকে জেলা কৃষি কর্মকর্তা দ্রæত আলু জমি থেকে তুলে আলোছায়া স্থানে রেখে সংরক্ষণের পরামর্শ দিচ্ছেন। কচুয়ায় চলতি বছরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এ উপজেলায় বাম্পার ফলন হয়। মার্চ মাসের শুরুতেই আলু চাষিরা আলু তুলতে শুরু করে। খরচ পুষিয়ে মোটা অংকের মুনাফার আশা ছিল। সম্প্রতি কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিতে পানি আলুর জমিতে জমে গেলে আলু চাষিরা সেচ দিয়ে বিনষ্টের হাত থেকে আলু রক্ষা করতে চেষ্টা করে। দফায় দফায় টানা বর্ষণ ও মুশলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত কৃষকরা বিনষ্টের হাত থেকে আলু রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়। কোনো কোনো জমির পানি সেচ দিয়ে সরিয়ে ফেলা হলেও কর্দমাক্ত মাটিতে আলু পচে বিনষ্ট হয়। অনেক আলু চাষি তাদের চাষাবাদের খরচের ১০-১৫ ভাগ আলু ঘরে উঠাতে পারছে না। এমনি অবস্থায় আলু চাষিরা কান্নায় ভেঙে পড়ছে। অধিকাংশ আলু চাষি বিনষ্ট হওয়া আলু গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। বর্তমানে কচুয়ার বিভিন্ন মাঠে শুধু কৃষকদের হাহাকার। কৃষকরা বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে অনেকে আলু চাষাবাদ করেছেন। টানা বর্ষণের কারণে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক এখন পথহারা। লাভের প্রত্যাশা নিয়ে যা চাষাবাদ করেছিল তা এখন সব শেষ। ঋণের বোঝা পরিশোধ করতে কৃষকের মুখে শুধু হাহাকার। চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় চলতি মৌসুমে আলুর আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে। শুধুমাত্র কচুয়া উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬০ টন। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। দেখা দিতে পারে বীজ আলু সংকট। কারণ কচুয়া উপজেলার মাত্র ত্রিশ ভাগ আলু উত্তোলন করা সম্ভব হলেও বাকি আলু বৃষ্টির পানিতে পচে গেছে। কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শত শত একর জমির আলু তোলা সম্ভব হয়নি। ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় মাটির নিচে সব আলু পচে গেছে। কেউ কেউ তোলার চেষ্টা করলেও শ্রমিক খরচ উঠানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চাঁদপুর সূত্রে জানা যায়, কিছু এলাকার আলু এখনো তোলা হয়নি। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে ফসলি জমিতে পানি আটকে গেছে। কর্মকর্তারা অতি দ্রæত আলু উত্তোলনের পরামর্শ দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করতেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।