Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক অসহায় বিধবার আকুতি ‘এতিমগো লইয়া বাঁচতে দিন’

| প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পূর্ব বিএস ডাঙ্গী গ্রামের মৃত আঃ মান্নান মোল্যার স্ত্রী সাহেদা বেগম (৪০) দুই এতিম জমজ শিশু সন্তান মেঘনা (৮) ও যমুনা (৮) কে নিয়ে স্বামীর বসতভিটেয় বসবাসের আকুতি জানিয়েছেন। ২০১৪ সালে উক্ত বিধবা অভাবের তাড়নায় বসতভিটের ১২ শতাংশ জমি পার্শ্ববর্তী আকোটেরচর ইউনিয়নের মোস্তফা কামালের স্ত্রী তাছলিমা খানমের কাছে বিক্রি করেন। স্বামীর বসতভিটের জমি বলে নাবালকের স্বত্বের মধ্যে একটি ঘরে বিধবা পরিবারটি বসবাস করছেন। কিন্তু বসতভিটের ঘরসহ পুরো জমির দাবিদার প্রতিপক্ষ তাছলিমা খানম (৩৫)। সে গত মঙ্গলবার বিধবা পরিবারের সব মালামাল বের করে দিয়ে বাড়ি মেরামত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ওই অসহায় বিধবা আকুতি জানিয়েছে “আমাকে রাস্তায় বের করে দিয়েন না, এতিমগো লইয়া বাঁচতে দিন”। জানা যায়, ১৬৪ নং চরভদ্রাসন মৌজা দিয়ারা ১১নং মৌজার দিয়ারা প্রস্তাবিত ১৫৭১ নং খতিয়ানে ৮৫০৫ নং, ৮৫১৫ নং ৮৫১৬ নং দাগে ওপর এতিম পরিবারটির বসবাস। বিধবার পরিবারে উপার্জনক্ষম তেমন কেউ নেই। উক্ত বিধবা জানায়, “ভিটেবাড়ি ক্রেতা তাছলিমার সাথে মৌখিক শর্ত ছিল শিশু সন্তানরা সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত ভিটেয় বসবাস অধিকার থাকবে। তাই তিনি ১ লাখ টাকা শতাংশ কমমূল্যে ভিটে জমি বিক্রি করেছিলেন। কিন্তু গত দু’মাস ধরে পরিবারটি উচ্ছেদের জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তাছলিমা খানম। বিধবার দু’টি জমজ মেয়ে মেঘনা ও যমুনা ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। তাই এতিম সন্তান নিয়ে বসবাসের অধিকার চান তিনি”। ওই বসতভিটে ক্রেতা তাছলিমা খানম বলেন, “দুই নাবালকের মধ্যে একজনের পক্ষে তার মা ভিটেবাড়ি দলিল করে দিয়েছে এবং আমি বাড়ি মেরামত করার জন্য কোর্ট অর্ডার হাতে নিয়ে ভিটেয় কাজ করছি”।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ