পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল ব্যুরো : জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব-এর সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, ১৬ কোটি মুসলমানের এদেশে ইসলামের পতাকা উড্ডীন রাখতে ওলী-আউলীয়াদের অবদান অপরিসীম। আর ছারছীনা দরবারও বিগত দেড়শ’ বছর যাবত মানুষকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল ছারছীনার বার্ষিক মাহফিলে বক্তৃতায় তিনি বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হওয়া সত্তে¡ও বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষার প্রসারে তেমন কোন অগ্রণী ভূমিকা ছিল না। জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এ লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। ছারছীনার মরহুম পীর ছাহেব ছিলেন এ সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। আলহাজ হজরত মাওলানা মান্নান (রঃ) ছাহেব তার সারাটি জীবন মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষকদের জন্য কাজ করে গেছেন। তার অসমাপ্ত কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জমিয়াত সভাপতি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বহু কাক্সিক্ষত আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মাদ্রাসা ও ইসলামী শিক্ষার মান উন্ননয়নে সরকারের সাথে আমরাও কাজ করছি। আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে। তিনি বলেন, একমাত্র ইসলামী শিক্ষাই পারে সব ধরনের হানাহানি ও হিংসা-বিদ্বেষ ও সব ধরনের অনৈতিকতা থেকে দেশের ছাত্র সমাজকে রক্ষা করতে। আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রকৃত ইসলামী শিক্ষাই একজন খাঁটি মুসলমান তৈরী করতে পারে। ইসলামে কোন ধরনের হিংসা, হানাহানি ও বিবাদ এবং জঙ্গিবাদের স্থান নেই। ইসলাম যেভাবে ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য নির্দেশ করে প্রতিটি মানুষকে ন্যায়ের পথে চলার তাগিদ দিয়েছে, আমাদের মাদ্রাসাগুলোও আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর নির্দেশিত পথে চলার শিক্ষা দিচ্ছে। তিনি বলেন, ছারছীনা দরবার শরিফও ইসলামের একটি প্লাটফর্ম। দেড়শ’ বছরের পুরনো এ দরবার ও তার মাদ্রাসা দ্বীনি শিক্ষা দিয়ে দেশে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। কেউ ইচ্ছে করলেই এ প্রতিষ্ঠানে আঘাত করতে পারবে না। তিনি আবারো এ উপ-মহাদেশে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিতে ওলী-আউলীয়াদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
আদর্শ ও আকিদার ক্ষেত্রে ছারছীনা দরবার কারো সাথে আপোষ করেনি : ছারছীনা পীর সাহেব কেবলা
আদর্শ ও আকিদার ক্ষেত্রে ছারছীনা দরবার কারো সাথে আপোষ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবেনা বলেছেন আমিরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর সাহেব কেবলা। ছারছীনা শরীফের বাণী আল্লামা নেছার উদ্দিন (রহ.) তার পীরের হুকুমে যখন এদেশে দীনের দাওয়াত নিয়ে তার মিশন শুরু করেন তখন এদেশের মানুষের ধর্মীয় অবস্থা ছিল খুবই করুন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি ১২৭ বছর পূর্বে এ মাহফিল প্রতিষ্ঠা করেন। মাহফিলের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অগণিত দিশেহারা মানুকে হেদায়েতের দিশা দেওয়া হচ্ছে। দাদা হুজুর মাহফিল ও খানকার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান করেছেন অনেক মাদরাসা। তার প্রচেষ্ঠায় এদেশের দীনি পরিবেশ ফিরে এসেছিল। তার সে উদ্দেশকে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রচেষ্ঠা চালাতে হবে। এ মাহফিল থেকে আমাদেরকে তার আদর্শ শিক্ষা নিতে হবে। মনে রাখতে হবে এ দরবার নিয়ে বদ আকিদার লোকজন দিনদিন বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। তাদেরকে আদর্শ ও আকিদার মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।