পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সরকার কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন ও কাজ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন, শুনেছেন এবং নির্দেশও দিয়েছেন যে, এই সমস্ত কীভাবে হলো? শুধু তাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন এবং শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ইসলামের অবমাননাকর, ধর্মের অবমাননাকর কোনো কিছু করবো না এটুকু আশ্বস্ত করতে চাই। মন্ত্রী বলেন, আমরা (আ.লীগ) কখনো বলিনি যে, আওয়ামী লীগ কোরআন এবং সুন্নাহভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। আমরা বলেছি কোরআন এবং সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন ও কাজ করবো না।
গতকাল শনিবার গাজীপুরে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের একমাত্র পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
একই অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে দেশের আলেম সমাজের যে সুসম্পর্ক তা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত মাদরাসা শিক্ষার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার মাদরাসা শিক্ষা ও ইসলামি শিক্ষার জন্য যেটা করেছেন সেটা অভাবনীয়, অকল্পনীয়, অচিন্তনীয়। মাদরাসা শিক্ষকগণ এখন যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন এটা উনারা আগে কল্পনাও করতে পারেননি। সরকারও এর ফল পেয়েছে। কিন্তু এখন এমন একজনকে শিক্ষামন্ত্রী ও আরেকজনকে উপমন্ত্রী করা হয়েছে যারা ইসলামবিদ্বেষী, মুসলিমবিদ্বেষী। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তারা অন্য দায়িত্ব পালন করতে পারে; কিন্তু মাদরাসা শিক্ষার দায়িত্বে থাকতে পারেন না।
সংগঠনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর সভাপতিত্বে ও গাজীপুর জেলা জমিয়াতের সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. জহিরুল হকের পরিচালনায় প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এড. আ ক ম মোজাম্মেল হক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। সম্মেলনে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী বলেন, জমিয়াতের যেকোন ভালো কাজের সঙ্গে আমি আছি।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের অনেকে ধর্ম পালন না করে সেটিকে ব্যবহারের চেষ্টা করে। পাকিস্তান ইসলামী রিপাবলিক অব পাকিস্তান নাম দিয়েছে। কিন্তু তারাও ব্রিটিশ আইনগুলো দিয়ে দেশ চালাচ্ছে, আমাদের এখানেও একই আইন চলছে। ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী এমন কি আইন তারা করেছে? আমাদের এখানে যখন বিএনপি-জামায়াতের চার দলীয় জোট ক্ষমতায় এসেছিল। তারা বলেছিল আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই। তারা আল্লাহর কোন আইনটা সংবিধানে সংযুক্ত করেছিল। তাদের তো সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল সংসদে। সুদ শব্দটারও তো পরিবর্তন করেনি। আর কাজের মধ্যে কোন সততার দৃষ্টান্ত তারা রেখে গেছেন?
প্রতিনিধি সম্মেলনে জমিয়াত সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ বামপন্থি ছিলেন, তাকে প্রথম শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ার পর যেভাবে হোক ২০১০ সালে শিক্ষানীতি নিয়ে যখন বিতর্ক দেখা দিলো, আলেম সমাজ যখন রূখে দাঁড়াল, উনি কিন্তু দেরি করেননি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের সঙ্গে, মোদার্রেছীনের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। উনি (নুরুল ইসলাম নাহিদ) মাদরাসা ও ইসলামী শিক্ষাকে চমৎকারভাবে শিক্ষানীতিতে গুরুত্ব দিয়েছেন। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষকদের বেতন-বৈষম্য দূর হয়েছে সে সময়। ওই সময়ে আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার যা করেছে তার ফল সরকারও ভোগ করছে। কিন্তু এখন এমন একজনকে (দীপু মনি) শিক্ষামন্ত্রী করেছেন, উনাকে আরও বড় মন্ত্রী করতে পারতেন। কারণ উনি একজন ইসলামবিদ্বেষী, উপমন্ত্রী নওফেল (মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল) দু’জনই ইসলামবিদ্বেষী, মুসলিমবিদ্বেষী, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তারা অন্য কাজ করতে পারে; কিন্তু মাদরাসা শিক্ষার দায়িত্বে তারা থাকতে পারেন না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো যারা পড়াশোনা করছেন তাদের এক-তৃতীয়াংশ মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী। সেটা আলিয়া, কওমী, দ্বীনিয়াসহ নানাবিধ দিক দিয়ে। এত বড় সংখ্যক শিক্ষার্থীকে অবজ্ঞা করার কোনো সুযোগ নেই। যারা মাদরাসায় পড়াশোনা করে তারা ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে বড় হতে পারেন কি না? কারণ মোদি (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) যেভাবে শিক্ষানীতি চায়, ভারতের ইতিহাস যেভাবে পাল্টে দিতে চায়, বাংলাদেশে সেটা কেউ করতে পারে না সেটা ভাবতে পারে না। ইতোমধ্যে বিতর্কিত দুইটা বই বাতিল করা হয়েছে, আরো কিছু বইয়ে অসঙ্গতি আছে। কিন্তু দীপু মনি উল্টা-পাল্টা কথা বলে বেড়াচ্ছেন। বই নিয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়াননি। বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই, বই ছাপিয়েছে সরকার। যেসব অসঙ্গতির কথা বলা হচ্ছে তা সরকারের ছাপানো বই থেকেই। তাই এসব কথা বলে সরকারকে অপ্রয়োজনে বিতর্কিত করছেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীই।
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মিডডে মিল ও উপবৃত্তি না দেয়ার কঠোর সমালোচনা করে ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, বলা হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে টিফিন-উপবৃত্তি দেয়া হবে। তাহলে ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষার্থীরা কার সন্তান? এদেশের কৃষকের, গরিবের সন্তান না? তাহলে প্রাথমিকে দেবেন; কিন্তু মাদরাসার শিক্ষার্থীদের দিবেন না এটা কেমন কথা? এই বৈরী নীতি, বৈষম্যমূলক নীতি কেন?
সমাজ স্থিতিশীল রাখতে আলেম সমাজের ভূমিকার কথা তুলে ধরে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি বলেন, আজকে সমাজে ড্রাগস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, ড্রাগসের কারণে ভাই-ভাইকে, স্ত্রী-স্বামীকে হত্যা করছে। মানুষের নৈতিক অধঃপতন কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? সেটা থেকে উত্তরণ করতে হলে নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ এবং ইসলামের আলোকে সুন্দর চিন্তা ছাড়া উত্তরণের কোনো সুযোগ নেই। সরকার এবং পুলিশ শত চেষ্টা করেও যেটা কন্ট্রোল করতে পারে না, সেটা সপ্তাহে অন্তত একদিন মসজিদে খুৎবা দিয়ে ইমাম সাহেবগণ করতে পারেন। সেখানে তারা সমাজকে স্থিতিশীল রাখার শিক্ষা দেন, নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ তৈরির কথা বলেন। এগুলোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পয়সা তাদের দেয়া হয় না। অথচ আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ১ ঘণ্টা একটি ভাষণ দেন এজন্য তাকে ১১ কোটি টাকা দিতে হয়। দেশের ইমামগণ সমাজ ও রাষ্ট্রকে এই ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার বরাবরই-এর সঙ্গে ছিলেন কিন্তু দীপু মনিসহ কিছু ব্যক্তি এই সম্পর্ক নষ্ট করছে এবং সরকারের বিরাট ক্ষতিসাধন করছে।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, ভারতে আগামীদিনের প্রধানমন্ত্রী যাকে ভাবা হচ্ছে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে তছনছ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই রাজ্যেই এখন প্রাকৃতিকভাবে খরা দেখা দিয়েছে, প্রচণ্ড গরমে কল-কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে। মানুষ কাজকর্ম করতে পারছে না। সেখানকার রাজনীতি, অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।
সারাদেশের মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ও আলেম-ওলামাদের এই প্রতিনিধি বলেন, যখন থেকে আমাদের দেশে ইসলামবিদ্বেষী কার্যক্রম শুরু হয়েছে তখন থেকে আমাদের দেশের পরিস্থিতি ভালো না। যদিও এটি প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা বিরোধী, আওয়ামী লীগের চিন্তা-চেতনা বিরোধী। এটার প্রাকৃতিক পরিবেশ কিন্তু আপনারা (সরকার) দেখতে পাচ্ছেন। আপনি (সরকার) চাইলে রিজার্ভ ট্রিলিয়ন ডলার করতে পারবেন; কিন্তু বৃষ্টি নামাতে পারবেন না। ইচ্ছে করলেই খরা দূর করতে পারবেন না। এই সমস্ত কিছু একজনের হাতে, যার কাছে দেশের লাখ লাখ আলেম-ওলামা প্রতিরাতে চোখের পানি ফেলেন। এই সমস্ত আলেম-ওলামাকে বাইরে রেখে, দূরে ঠেলে দিয়ে কোনো কিছু অর্জন সম্ভব হবে না।
মাদরাসা শিক্ষার জন্য সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকী এক বছরের কম সময়। এরকম একটা সময়ে সরকারের রাজনীতিতে জ্ঞান-সুবিধা সবকিছুর জন্য সব সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র যে, চিন্তা করেই করতে হয় তা নয়। রাজনৈতিক সুবিধার জন্যও কিছু কাজ করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের সঙ্গে বৈঠক করে আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের দাবির পর উনি বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন, অর্থমন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন, তার কাছে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত চেয়েছেন, আমরা তৈরি করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এটি পাস হয়েছে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন হয়েছে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য মানুষ তৈরি করবেন শিক্ষকগণ। মাদরাসা শিক্ষাকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের মাদকবিরোধী সম্মেলনে বলা হয়, আলেম-ওলামা, ইমামগণের মাধ্যমে বার্ত দিতে হবে। আপনাদের প্রতি আস্থা আছে দেখেই এটি বলা হয়।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন শুধু বেতন-ভাতা, দাবি দাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, দেশের যে কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে, শীতে উত্তরবঙ্গে, বন্যা দুর্গত এলাকায়, আইলাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এছাড়া ফিলিস্তিন ও তুরস্কের মুসলমানদের পাশেও দাঁড়িয়েছি।
ইবতেদায়ী মাদরাসায় দুর্দশার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ইবতেদায়ী স্তরে ৭ হাজার মাদরাসা রয়েছে। এসব মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্যে মাত্র ১৫০০ শিক্ষক ২৩০০ টাকা করে বেতন পায়, বাকিরা কিছুই পায় না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিমাসে উপবৃত্তি পাচ্ছে, কিন্তু স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত ইবতেদায়ী শিক্ষার্থীরা কোনো উপবৃত্তি পায় না, এমনকি কোনো সুযোগ-সুবিধা, একটি বিস্কুটও পাচ্ছে না। এটি একটি বৈষম্য। অথচ শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, মাদরাসা শিক্ষা হচ্ছে এদেশের একই শিক্ষাব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানে অবিচ্ছেদ্য অংশকে পিছিয়ে রেখে যারা ধর্মের কথা বলবে, নীতি-নৈতিকতার কথা বলবে, যারা দেশে-সমাজে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের জন্য কাজ করবে তাদেরকে যদি আমরা পিছিয়ে রাখি, বঞ্চিত রাখি তাহলে কি একটি সুন্দর সমাজব্যবস্থা কায়েম হবে?
এসময় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডপ্রন্সিপাল মাওলানা আবুজাফর মো. সাদেক হাসান, দফতর সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ এজহারুল হক, নরসিংদী জেলার সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মো. আবু রায়হান ভূইয়া, সদস্য স ম আ. হাকিম জেহাদী, মাওলানা আ. মান্নান।
প্রতিনিধি সম্মেলনে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন গাজীপুর জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হন, প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. জহিরুল হক ও সেক্রেটারি মাওলানা মনসুরুল আলম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।