Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাভজনক হওয়ায় স্ট্রবেরি চাষে ঝুঁকছেন সিরাজগঞ্জের কৃষক

| প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে : স্ট্রবেরি চাষে দিন পরিবর্তন হতে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জের চাষিদের। বর্তমান সময়ে খুব লাভজনক হওয়ায় বেশির ভাগ কৃষকই স্ট্রবেরি চাষে গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষ করে সিরাজগঞ্জের শহরাঞ্চলে এর চাহিদা বেশি। ছোট থেকে বড় সবাই খুব মজা করে এই ফলটি খায়। অত্যন্ত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ রসালো ফল হওয়ায় সিরাজগঞ্জে স্ট্রবেরি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেছেন অনেক কৃষক। ভালো লাভ পাওয়ায় ঝুঁকে পড়েছেন স্ট্রবেরি চাষে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া তাড়াশসহ বিভিন্ন এলাকায় স্ট্রবেরি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। চারা লাগানোর দেড় মাস পর থেকে শুরু হয় ফল আসা। ব্যাংক ঋণ অথবা সরকারিভাবে কোনো আর্থিক সহায়তা পেলে স্ট্রবেরি চাষে প্রসারতা আরো দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করছেন কৃষকেরা। আমাদের দেশে রাবে ত্রী ও আমেরিকা দুই জাতের স্ট্রবেরি ফলের চারা পাওয়া যায়। তার মধ্যে রাবে ত্রী জাতের ফল অত্যন্ত সুস্বাদু। স্ট্রবেরি চাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উচিঙ্গা পোকা ও পিঁপড়া গাছের কিছুটা সমস্যা করে। এবছর ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা কেজি দরে স্ট্রবেরি বিক্রি করছেন কৃষকেরা। উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক মারুফ হোসেন বলেন, এ বছর আমি চার বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করেছি। আমার মোট খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা, ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি এবার দ্বিগুণ লাভ পাব। রায়গঞ্জ উপজেলা চান্দাইকোনা গ্রামের আহসান হাবীব বলেন, স্ট্রবেরি ফলের কথা শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে বগুড়ার শেরপুর এক খামার থেকে স্ট্রবেরির চারা নিয়ে আসি। গত বছর বাড়ির পাশে ৫০ শতক জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করি। এর দেড় মাস পর থেকে গাছে ফল আসতে শুরু করে। ফল আসা পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। তখন বাজার ভালো থাকায় আমি অনেক লাভের মুখ দেখেছি। এবারো ৩/৪ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের কৃষক রুবেল হোসেন বলেন, আমি এবার প্রথম স্ট্রবেরি চাষ করেছি। শুনেছি অনেক লাভ। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে কতটুকু লাভবান হব বুঝতে পারছি না। বিক্রির পর বোঝা যাবে। সিরাজগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, স্ট্রবেরি খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল হওয়ায় এর ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে। ফলন ও লাভ দুটোই ভালো হচ্ছে। তবে সিরাজগঞ্জে স্ট্রবেরি ফল সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখনো গড়ে উঠেনি। সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুললে বেশি বেশি স্ট্রবেরি চাষ করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলাসহ বিদেশেও রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।



 

Show all comments
  • মহিউদ্দিন ১২ মার্চ, ২০১৭, ৩:০১ এএম says : 0
    বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ । এখানে সঠিকভাবে চেষ্টা করলে বেশিরভাগ ফসলই ফলানো সম্ভব।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ