রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : রূপগঞ্জের ইছাপুরা বাজারে হত্যা মামলার আসামি ও মুরগী ব্যবসায়ী জামান বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। শুধু তাই নয় স্থানীয় ব্যবসায়ী আনু মোল্লার সাথে সখ্যতা করে মাদক সিন্ডিকেটের সম্রাট হিসেবে পরিচালনা করছে এ অবৈধ রাজত্ব। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জের বালু নদীর তীর এলাকা ইছাপুরা বাজার, বাড়িয়া ছনি ও ঢাকার বেরাইদ মাদকের আখড়া। এসব এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক কেনা বেচা ও ঘরে ঘরে মাদকের বিস্তার হলেও প্রশাসনের কিছু অসাধু লোকজনের সাথে আঁতাত থাকায় তা বন্ধ হচ্ছে না। এসব মাদক সরাসরি সরবরাহ করে আসছে ছনি এলাকার লিটন হত্যা মামলা আসামি জামান মিয়া। আর এ মাদকের ভয়াবহ বিস্তারে সরাসরি আর্থিক সহযোগিতা করছে বাড়িয়ারটেক এলাকার আনু মোল্লা। সূত্র জানায়, আনু মোল্লার অর্থায়নে হত্যা মামলার আসামি জামান মিয়াকে লিটন হত্যার প্রধান আসামি হলেও জামিনে ছাড়িয়ে আনা হয়। সেই থেকে জামান মোল্লা ইছাপুরা বাজার এলাকায় লোক দেখানো মুরগীর ব্যবসা করলেও আড়ালে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তাদের মাদক কেনা বেচার বিষয় ইছাপুরা বাজারের প্রহরী সইক্কা জেনে গেলে প্রকাশ্যে মারধর করে। পরে প্রহরী ছইক্কা রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ আনু মোল্লাকে আটক করে। এভাবে একাধিকবার নানা অপকর্মের দায়ে আনু মোল্লা ও জামান মিয়াকে জেলে পাঠানো হলেও তাদের অপকর্ম থেকে থাকেনি। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাÐে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকে এই বাজারে ব্যবসা করতে পারছেন না। সূত্র জানায়, তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাদকের সাথে জড়িয়ে অপবাদ দেয়। এভাবে যে কেউ প্রতিবাদ করলেই মাদকের সাথে জড়ানোর হুমকি দেয়। অনেককে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে জেল খাটিয়েছেন। এসব বিষয়ে ছনি এলাকার ব্যবসায়ী লিটন হত্যা মামলার বাদী জমিলা বেগম জানান, আদালত থেকে জামিয়ে বেরিয়ে এসে জামান আমাকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। তাই আমি নিরাপত্তাহীনতার বসবাস করছি। তবে ইছাপুরা বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা জানায়, জামান এক সময় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হলেও এখন বাজারে মুরগী বিক্রি করে বলেই জানি। এসব বিষয়ে ব্যবসায়ী আনু মোল্লা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। এসব বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, হত্যা মামলার আসামি বেপরোয়া হয়ে থাকলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দিলেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ব্যবসায়ীদের হয়রানির প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন
রূপগঞ্জের বাড়িয়াছনি এলাকার মাছ ও সিমেন্ট ব্যবসায়ীদের মাদকের পাইকার হিসেবে জড়িয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত কিছু স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশের হয়রানীর প্রতিবাদে একটি সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে মুড়াপাড়াস্থ রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে বাড়িয়াছনির এলাকার মাছ ব্যবসায়ী সুমন সহযোগী ব্যবসায়ী সোহেল ও সিমেন্ট ব্যবসায়ী সুহিন মিয়া জানান, ইছাপুরা বাজার এলাকার কিছু অসাদু লোক বিভিন্ন সময় তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দেয়ায় বিরোধীপক্ষ সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে তাদেরকে মাদকের সাথে জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ কারণে সামাজিকভাবে হেয় ও তাদের ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে বলে জানান তারা। মাছ ব্যবসায়ী সুমন মিয়া দাবি করেন, তাদের মাদকের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। তবু একাধিকবার রূপগঞ্জ থানা পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে হয়রানি করেছে, শারীরিক নির্যাতনও করেছে। বাড়তি ঝামেলা মনে করে আইনি আশ্রয় নেননি। এ সময় সুহিন মিয়া জানান, স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ করায় রূপগঞ্জ থানার কিছু দারোগা তাদের হয়রানী করে টাকা পয়সা দাবি করেন। না দিলে জেলে ঢুকিয়ে দিবে বলে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি বৈধভাবে ব্যবসা করলেও একটি মহলকে চাঁদা না দিলেই হয়রানী করে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলন শেষে এসব হয়রানীর প্রতিবাদে আইনি আশ্রয় নিবেন বলে জানান তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।