Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেলাব ও শিবপুরে ২টি অপহরণ উদ্ধারে তৎপরতা নেই পুলিশের

| প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : গত বৃহস্পতিবার বেলাব জঙ্গা শিবপুর বাজার ও ৭ মার্চ শিবপুরের যোশর গ্রাম থেকে অপহৃত এক সবজি ব্যবসায়ী ও একজন শিশু অপহরণের ২ দিনেও পুলিশ কাউকে উদ্ধার করতে পারছে না। এদেরকে উদ্ধারের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো তৎপরতাও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। দুটি অপহরণ ঘটনার ব্যাপারেই পুলিশ নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বেলাব জঙ্গাশিবপুর বাজার থেকে ডিবি পরিচয়ে আব্দুল লতিফ (৪৫) নামে এক সবজি রফতানিকারককে প্রাইভেকার আরোহী এক দল অপহরণকারী অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। তারা বাজারে ঢুকে আব্দুল লতিফকে পিস্তলের মুখে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নেয়। অপহরণকারীরা প্রাইভেটকার নিয়ে দ্রæত ভৈরবের দিকে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ তার মোবাইল ফোনে জঙ্গা শিবপুর বাজারের ব্যবসায়ীদেরকে জানায় যে, তারা অপহরণকারী। বর্তমানে অপহরণকারীরা তাকে নিয়ে নারায়নপুর এলাকায় পৌঁছেছে। এই ঘটনার পরই আব্দুল লতিফের মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবারই বেলাব থানায় একটি মামলা করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাকে উদ্ধারের ব্যাপারে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকরা বেলাব থানার ওসি’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ভিন্ন কথা। ওসি জানান, এটি একটি সাজানো নাটক। ব্যবসায়ীরা তার কাছে টাকা পাওনা। পাওনাদারের হাত থেকে বাঁচার জন্য সে নাটক রচনা করেছে। আব্দুল হালিমের সাথে ওসির কথা হয়েছে। সে সিলেট থেকে ফেরত আসছে।
অপর দিকে নরসিংদীর শিবপুরে অভিনব কায়দায় অপহরণ করা হয়েছে সজল দাস নামে ৭ বছরের এক শিশুকে। শিবপুরের যোশর গ্রামের সজল দাসের পিতা পাÐব দাস একজন গরিব মানুষ। টাকা পয়সার অভাবে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া ও ভরন-পোষণ করতে পারেন না। এই সুযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে দুইজন অপহরণকারী তার বাড়িতে গিয়ে জানায় যে, সজলকে ঢাকার একটি সামাজিক সংস্থায় ভর্তি করে দেবে। এতে সে সেখানে লেখাপড়া করতে পারবে। পাশাপাশি চাকরি করতে পারবে। অভাবের তাড়না ও সরল বিশ্বাসে পাÐব দাস তার ছেলে সজল দাসকে তাদের হাতে তুলে দেয়। বিকেলেই তারা ফোন করে সজলকে ভর্তি করার পূর্ব পর্যন্ত ২ হাজার টাকা দাবি করে। পাÐব দাস বিকাশের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা তাদেরকে প্রদান করে। বৃহস্পতিবার দিন সকালেই অপহরণকারীদের চরিত্র ধরা পড়ে। সকালে ফোন করে অপহরণকারীরা জানায় যে, সজল দাস তাদের কাছে বন্দি আছে। তারা অপহণকারী। তাদেরকে নগদ ৭০ হাজার টাকা দিলে সজল দাসকে ফিরিয়ে দিবে। আর টাকা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে। এই খবর পেয়ে সজল দাসের পিতা মাতা বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। বিকেলে তারা নরসিংদী গিয়ে ঘটনাটি সংবাদিকদের অবহিত করে। এর আগে শিবপুর থানায় গিয়ে এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করে। সজল অপহরণের ব্যাপারে ওসি শিবপুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। বৃহস্পতিবার জিডি হয়ে থাকলেও সে তার গোচরীভ‚ত নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ