রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের মালিকানাধীন বেশ কিছু গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বোয়ালখালী উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো.আজিজ। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের পক্ষ হতে বোয়ালখালী থানায় এ অভিযোগ দায়েরের পর টনক নরে প্রশাসনের। সাথে সাথেই গত রোববার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেশ কিছু গাছ জব্দ করে। জানা যায়, উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের ধোরলা কালাইয়ারহাট এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মালিকানাধীন বিভিন্ন বিশাল এক পুকুর ও এর পার্শ্বে বেশ কিছ জায়গায় গড়ে উঠা বড় বড় বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান ১৫/১৬টি গাছ ইউপি চেয়ারম্যান কাজল দে ও ইউপি সদস্য মো. বাদশা মিয়া নামমাত্র মূল্যে গোপনে বিক্রি করে দেন। এরমধ্যে বেশির ভাগ গাছ ইতোমধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, ভুয়া ওয়ারিশান দেয়া, জাল ওয়ারিশান ইস্যু, নলক‚পের কাগজে স্বাক্ষরের জন্য টাকা দাবি, লাখ টাকায় জন্ম সনদ, নিজের নামে ওয়ারিশান দেখিয়ে নিজের ভাই-বোনের জায়গা আত্মসাৎ করাসহ অনেক অভিযোগের প্রকাশ্য স্বাক্ষী বলে জানান এখানকার এলাকাবাসী। এলাকাবসীর অভিযোগ স্থানীয় কিছু পাতিনেতার আশ্রয়ে থেকে দিন দিন এ ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ ভূমিদস্যু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গত ইউপি নির্বাচনে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যের সদস্য হয়ে সরকারি দলের টিকেট নেয়ার অভিযোগ সবার মুখে মুখে। এ ছাড়া এলাকায় পাহাড়ী মাদকের ট্রানিজটে তা সহযোগিতা রয়েছে বলেও জানান এলাকাবাসী। ইউপি চেয়ারম্যান কাজল দে গাছ বিক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন গাছ ইউনিয়ন পরিষদ বিক্রয় করতে পারে না। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে গাছগুলো বিক্রয় করা হয়েছে জানান ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া। এ ব্যাপারে বোয়ালখালী থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুল আলম আকন্দ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহ উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে গাছ কেটে ফেলার সত্যতা পাওয়া গেছে। আরো বিস্তারিত তদন্তের পর আইনানোগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ সদস্য মো. ইউনুচ বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ ধরনের কাজ করে থাকলে তা অবশ্যই গর্হীত কাজ। আমি এখন ঢাকায়, এখান থেকে আসার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলে জেনেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।