Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ও পৌরসভার দ্ব›েদ্ব মংলায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট

| প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মনিরুল ইসলাম দুলু, মংলা থেকে : মংলা পৌর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মধ্যে সৃষ্ট জটিলতায় পৌরসভার সরবরাহ করা সুপেয় পানি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পৌরসভার ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডসহ বিপুল সংখ্যক পৌরবাসী। সরবরাহ ক্ষমতার অধিক সংযোগ দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। লবণ পানি অধ্যুষিত এলাকা মংলাতে সব সময়েই সুপেয় পানির অভাব লেগে থাকছে। বিশেষ করে গ্রীষ্ম মৌসুমে সুপেয় পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। পৌরবাসীর এ পানির সংকট লাগবে শহরতলীর মাকঢ়ডোন এলাকায় সরকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত¡াবধানে প্রায় ত্রিশ কোটি টাকায় পর পর দুটো পানির রিজার্ভার (পুকুর) খনন করা হয়। প্রথম দফায় খনন করা পুকুর নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে খোদ পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রথম রিজার্ভারটি ১০ ফুট গভীর করার কথা থাকলেও সেখানে মাত্র সাড়ে ৪ ফুট গভীর করা হয় বলে পৌর মেয়রের অভিযোগ। এ ছাড়া সরবরাহ লাইনে উন্নতমানের পাইপ ও ফিটিং দেয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে নিম্নমানের। দুটো রিজার্ভারকে টার্গেট করে পৌর এলাকায় প্রায় দুই হাজার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অপর রিজার্ভারটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত বুঝে না নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ দুই হাজার পরিবারকে পানির লাইনের সংযোগ নিয়ে বিপাকে পড়েছে। এ দিকে পৌরসভার পানি সরবরাহ প্রকল্প চালু হওয়ায় পৌর এলাকার অধিকাংশ বাড়িঘরের মালিক তাদের অতিরিক্ত পানির উৎস পুকুর-ডোবা ভরাট করে ফেলে বিপাকে পড়েছে। এখন একমাত্র রিজার্ভার থেকে এক ঘণ্টা করে পানি সরবরাহ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। পানির লাইন চালু হলে প্রকল্প সংলগ্ন এলাকার পরিবারগুলো কিছু পানি পেলেও দূরত্বের লাইনের পরিবারগুলো তেমন পানি পাচ্ছে না। বিশেষ করে ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের এ দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি ভোগ করতে হচ্ছে। পানি প্রকল্প এলাকা থেকে ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের দূরত্ব ৪/৫ কিলোমিটার হওয়াতে সেখানে পানি পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক বেশি সময় লাগার কারণে পানির স্পিড (জোর) অনেক কম। অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে, ৮ এবং ৯নং ওয়ার্ডে পানি পৌঁছাতে পৌঁছাতে মেইন সরবরাহ লাইন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনেক পরিবারে বেশি পানি প্রাপ্তির আশায় লাইনের সাথে অবৈধ মোটর সংযোগ দিয়ে পানি টানার কারণেও পানির লাইনে স্পিড (জোর) থাকছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন খনন করা পুকুরটি পৌরসভাকে হস্তান্তর করলে হয়তো পানির সংকট কিছুটা দূর হতো। কিন্তু জনস্বাস্থ্য ও পৌর কর্তৃপক্ষের মধ্যে শুরু হওয়া রশি টানাটানিতে বিরাজমান সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। দু’সংস্থার মধ্যে চলমান দ্ব›েদ্বর কারণে খনন করা পুকুর হস্তান্তর হচ্ছে না। এর ফলে পানির অভাবে কষ্ট পাচ্ছে পৌরবাসী। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র জুলফিকার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় জনস্বাস্থ্যের প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. কায়েচের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। আর জনস্বাস্থ্যের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কায়েচের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উল্টো পৌর মেয়রের সাথে কথা বলতে বলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ