রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এসকেএম নুর হোসেন, পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের পটিয়ায় খালে বাঁধ দিয়ে রাস্তা সৃষ্টির ফলে পটিয়া ও বোয়ালখালী দুই উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক কৃষকের ২শ’ হেক্টর বোরো আবাদ পানি সেচ সংকটে পড়েছে। পটিয়া-বোয়ালখালী উপজেলার সীমান্তবর্র্তী কর্ণফুলী নদীর সাথে প্রবাহিত আরগাজী জোয়ার ভাটা খালে বোয়ালখালী করলডেঙ্গা এলাকার লোকজন চলাফেরা করার জন্য খালে বাঁধ দিয়েছে বলে কতিপয় ব্যক্তি জানান। সরেজমিনে গিয়ে করলডেঙ্গা এলাকার লোকজন থেকে জানতে চাইলে কাজল চক্রবর্ত্তী নামের এক ব্যক্তি জানায়, করলডেঙ্গা ও ধলঘাট এলাকার মধ্যে চলাচলের জন্য খালের মাঝখানে ব্রিজ করা হবে। এ ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য খালে দুই দিকে বাঁধ দিয়ে মাঝখানের পানি ফেলে দিয়ে ব্রিজের কাঠামো তৈরি করার জন্য এ বাঁধ দেয়া হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণ আদৌ হচ্ছে কিনা পটিয়া উপজেলা প্রকৌশলী থেকে জানতে চাইলে তিনি ঐ জায়গায় এখনো ব্রিজের কোন টেন্ডার দেয়নি বলে জানান। জোয়ার ভাটা খালে বাঁধ দেয়ার ফলে পটিয়া উপজেলার ধলঘাট, কেলিশহর রতনপুর এলাকার ৫ শতাধিক কৃষকের ২শ’ হেক্টর বোরো আবাদ ও বোয়ালখালী উপজেলার করলডেঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় ৩ শতাধিক কৃষকের দেড়শ হেক্টর বোরো ধান সেচ সংকটের মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে ৫ জন পানি সেচের স্কীম ম্যানেজার রয়েছে। তারা হলো রতনপুর এলাকার ফারুকুল ইসলাম, বোয়ালখালী এলাকার ইকবাল মেম্বারের ভাই মো. জাবের। দক্ষিণ করলডেঙ্গার মো. ইদ্রিস, নুর মোহাম্মদ। পটিয়া পূর্ব রতনপুর এলাকার বদিউল আলম। পটিয়া ধলঘাট এলাকার ফজলুর রহমান। বোরো ধান ছাড়াও খালের দুই পাশের্^ উক্ত এলাকাসমূহে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে রবি শস্যের চাষ রয়েছে। এ রবি শস্যের মধ্যে রয়েছে করলা, ঝিঙ্গা, চিচিংগা, তরমুজ, ভাংগী, ঢেড়স, লাউ, শসা, ক্ষীরা। এসব রবি শস্যে পানি সেচের ব্যবস্থা না থাকলে পানির অভাবে ক্ষেতগুলো মরে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। খাল বন্ধ থাকায় অনেক রবি শস্যে মরক দেখা দিয়েছে। এলাকার কৃষক বাবলু মিয়া জানায়, তার ৩০ শতক জমির ক্ষীরা ক্ষেত খালে পানি না থাকায় সেচ দিতে পারেনি। ফলে ক্ষীরা ক্ষেতে মরণ দেখা দিয়েছে। কৃষক দিদার ও রবিউল জানান, তাদের করলা ও ঝিঙ্গা ক্ষেত পানির অভাবে লালচে হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিগত ২১ জানুয়ারি এলাকার লোকজন খালে বাঁধ দিবে বলে তারা শংকা প্রকাশ করে একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। বাঁধটি সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি অবগত নয়। বাঁধ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। এলাকার চাষিরা অবিলম্বে উক্ত বাঁধ অপসারণ করে অথবা বিকল্প পানি চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।