Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মান নিয়ে অভিযোগ উঠলেও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না

পঞ্চগড়ের সাবেক গাড়াতি ছিটমহলে সড়ক সংস্কারে অনিয়ম

| প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা : পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাবেক গাড়াতি ছিটমহলের অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের অভ্যন্তরে সাবেক ছিটমহলে রাস্তাঘাট উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিলুপ্ত গাড়াতি একটি ছিটমহল। এখানে অতি সম্প্রতি রাস্তা উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। জানা যায়, ৭টি প্যাকেজে প্রতিটিতে ১ কি.মি. রাস্তা নির্মাণ করা হবে। সরেজমিন গেলে দেখা যায়, সিডিউল অনুযায়ী যেভাবে কাজ করার কথা সেভাবে কাজ করা হচ্ছে না। বালু ও মাটিমিশ্রিত ইটের খোয়া দিয়ে যেনতেনভাবে আশপাশের পুকুর হতে কোনোরকম পানি দিয়ে নামমাত্র রোলার ব্যবহার ও তাড়াহুড়ো করে নিচের অংশ (সাববেচ) করা হচ্ছে। ফলে স্থানীয়ভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার কানাপাড়ার বাসিন্দা অভিযোগকারী মো. আলাউদ্দীন বলেন, ভাই দেখেন তো এসব কি কাজ হচ্ছে। ঠিকাদার প্রতিনিধি মনুসরকে কতবার বলেছি, বালু ও মাটি বাদ দিয়ে ইটের খোয়া দিয়ে বেচ তৈরি করুন। তবে সে (মনুসর) জানান, তোমরা কি জানো। আলাউদ্দীন আরো জানান, পুকুরের পানি আর ক’দিন থাকবে। আমরা এখানে টিউবওয়েল দিতে বলেছি। যেন ভালোভাবে পানি কিউরিং করে কাজ করা যায়। কিন্তু তাকে বললে সে দূরে গিয়ে বনে থাকে আর শ্রমিকরা ওইভাবে কাজ করে চলেছে। সরেজমিন সেখানে গেলে সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় কাজ করার সময় সাইটে কাউকে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে ওই গাড়াতিতে এমএইচ কর্পোরেশন (ঢাকা) কাজের মান অত্যন্ত খারাপ হওয়ার অভিযোগ উঠলে সেখানে একদল সাংবাদিক যায় এবং খারাপ কাজের জন্য কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে একটি রাস্তায় হালচাষ দিয়ে পুনরায় কাজ করতে বলে। অভিযোগ রয়েছে, মোকসেদ আলী নামে এক কার্যসহকারী এসব অপকর্মে জড়িত। সূত্র মতে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন। অফিসের একটি সূত্র জানায়, ঢাকার একজন ঠিকাদারের সাথে কাজের মান নিয়ে মোকসেদের সাথে দফারফা না হওয়ায় সে বিষয়টি ভÐুল করে দিয়েছিল। মোকসেদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। কেউ তার মোবাইল নম্বর দিতে পারেনি। তবে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামানের সাথে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বললে, তিনি এমন কিছু জানে না বলে জানান এবং বলেন, এমন ঘটনা ঘটলে কাউকে তিনি ছাড় দিবেন না। সূত্র মতে, প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি প্যাকেজে ওই রাস্তার কাজ চলছে। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে কাজের মান নিয়ে অভিযোগ উঠলেও রহস্যজনকভাবে কেউ সঠিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ