বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার গুণবতী ডিগ্রি কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেনের শিক্ষাসনদ জালিয়াতির ঘটনা ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি ওই কলেজের সভাপতির পদটি আঁকড়ে ধরে আছেন। কিন্তু কলেজের বেশকিছু কার্যক্রমে তার প্রভাব মাত্রাতিরিক্ত হওয়ার বিষয়টি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে নাড়া দেয়ায় বেরিয়ে আসে আনোয়ার হোসেনের ‘অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী’ রূপ। ব্যাস এনিয়ে ধীরে ধীরে প্রকাশ পায় আনোয়ার হোসেনের গ্র্যাজুয়েশন (ডিগ্রি পাশ) সার্টিফিকেট জাল। আর এ রকম জাল সার্টিফিকেট প্রদর্শন করেই তিনি বনে যান বেসরকারি ঐতিহ্যবাহী গুণবতী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সনদ জালিয়াতির বিষয়টি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম আসনের এমপি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো: মুজিবুল হক জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
কুমিল্লা জেলায় স্নাতক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চৌদ্দগ্রামের গুণবতী কলেজের নামডাক রয়েছে। আর এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবডির (পরিচালনা পর্ষদ) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন আনোয়ার হোসেন নামে এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। যিনি ওই কলেজের সভাপতি পদে নিয়োগ পাবার সময় তার জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ করেছেন তিনি ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তৃতীয় স্থান পেয়ে বিএ পাশ করেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপত্রে বলা আছে, বেসরকারি ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি হতে হলে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/ডিগ্রি পাশ হতে হবে। পরিপত্রের আলোকে আনোয়ার হোসেন কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে তার আবেদনে সংযুক্ত করেন ১৯৯৩ সালের বিএ পাশের সার্টিফিকেট। ওইপদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় আনোয়ার হোসেন ২০১৪ সালে গুণবতী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি পদে নিয়োগ পান। তিন বছর ধরে তিনি ওই পদে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।