পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষার মান অর্জনই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য ভাল মানের শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়নে ইতোমধ্যে সংসদে ‘বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বিল-২০১৭’ পাস হয়েছে।
গতকাল (বুধবার) রাজধানীতে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি এন্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ)-এর উদ্যোগে ’ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড শিক্ষা সফরে লব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এনরোলমেন্ট হার বৃদ্ধি পেয়েছে, ঝরে পড়ার হার অনেক কমেছে। তবে, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া এখনও একটি বড় সমস্যা। শিক্ষাক্ষেত্রে মেয়েদের অগ্রগতি বৈপ্লবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু সংখ্যার দিক থেকে নয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেয়েরা পড়ালেখায় ছেলেদের চেয়ে ভাল করছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, গোলাম মোস্তফা, সেলিম উদ্দিন তরফদার ও মামুনুর রশিদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ।
সেমিনারে ফিলিপাইন শিক্ষা সফরের ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সেকায়েপ প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহামুদ-উল-হক এবং থাইল্যান্ড শিক্ষা সফরের ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের যুগ্ম সচিব সফিউদ্দিন আহমদ।
আলোচনায় বক্তাগণ সফরের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করেন এবং বাংলাদেশে প্রয়োগ-উপযোগী বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। তারা বছরের প্রথমদিনেই ছাত্রছাত্রীদের হাতে বই তুলে দেয়া এবং শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানে সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তারা শিক্ষাক্ষেত্রে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা, সুশৃঙ্খল পদ্ধতি এবং ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আহŸান জানান। শিক্ষা সফর দুটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ছয়জন এমপি, মন্ত্রণালয়, মাউশি ও সেকায়েপ’র কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মাঠ পর্যায়ের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।