পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনরত শিক্ষার্থীদের আবারও আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডের বাসায় বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী এই অনুরোধ জানান। পরে রাতে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা চাই তাঁরা (শিক্ষার্থীরা) অনশন প্রত্যাহার করুক, তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। এখন যদি অনশনরত অবস্থাতেও বসতে চায় তাও করতে পারে। যেকোনো সমস্যার একমাত্র সমাধান আলোচনা। কাজেই আমরা আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে চাই। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দ্বার সব সময়ই উন্মুক্ত।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পারিবারিক অসুস্থতার কারণে এখন তিনি সিলেটে যেতে পারছেন না। তবে প্রয়োজনে তাঁর প্রতিনিধি যেতে পারেন। শিক্ষার্থীরা যখনই কথা বলতে রাজি হবে তখনই যেতে পারবে। তবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এর আগে শিক্ষার্থীরা এত উৎসাহ নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য রাজি হয়েও কি কারণে পাল্টে গেল তা খতিয়ে দেখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
দীপু মনি বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সময় অস্থিরতা দেখেছি, গত চার বছর বেশ ভালোভাবে চলেছে। এজন্য বর্তমান ভিসিকে দ্বিতীয় মেয়াদে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই গত কয়েকদিনে যে ঘটনা ঘটেছে, প্রথমে একটা অসন্তোষ থেকে, এরপর একটি পুলিশী অ্যাকশন ঘটেছে এবং সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনেকেই কমবেশি আহত হয়েছে। আমরা কোথাও এমন অ্যাকশন চাই না। তারা কি প্রেক্ষিতে এটি করেছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের যে কোন ধরণের অসন্তোষ, সমস্যা হতেই পারে, অভিযোগ থাকতে পারে, সেগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিষ্পন্ন করার পদ্ধতি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। সবজায়গায় সমাধান হয়ও। আলোচনা শ্রেষ্ঠতর পথ। তারা প্রথম দিকে যে দাবি জানিয়েছিল তা মেনে নেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন সেটি ভিন্ন দাবিতে রূপ নিয়েছে। শিক্ষকরাও গত কয়েকদিন উপর্যপুরি শিক্ষার্থীদের কাছে গেছেন কথা বলার চেষ্টা করেছেন, অনশনকারীদের চারপাশে অনেকেই আছেন শ্লোগান দিচ্ছেন, অবস্থান দিচ্ছেন এজন্য শিক্ষকরা অনশনকারীদের কাছে যেতে পারেনি, কথা বলতে পারেনি। শিক্ষকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বহিরাগতের উপস্থিতি রয়েছে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে কি ঘটনা ঘটেছে, কিভাবে ঘটেছে শিক্ষকদের কাছ থেকে শুনেছি। একদিকে যেমন পুলিশী অ্যাকশনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, আরেকদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হয়তো বহিরাগত হতে পারে তাদের মাধ্যমে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আরও কেউ জড়িত আছে কিনা? আরও কারো কোন ধরণের ইন্ধন আছে কিনা? বা অন্য কোন ব্যপকতর ডাইমেনশন আছে কিনা? সেটা আমরা জানি না। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক কোন দাবি থাকলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হতে পারে। শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা জন্য আমাদের দ্বার সব সময় উন্মুক্ত, আমরা সব সময় মনে করি আলোচনায় একমাত্র সমস্যা সমাধানের উপায়।
বৈঠকে শাবিপ্রবির শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ, সদস্য প্রফেসর মোহাম্মদ আলমগীর, ভিসিদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসেন। প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুহিবুল আলম, ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন মো. রাশেদ তালুকদার, অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অনুষদের ডিন আরিফুল ইসলাম ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন খায়রুল ইসলাম।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।