Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় সুবিধাভোগীদের বিক্ষোভ

গাইবান্ধায় কর্মসৃজন কর্মসূচির তালিকা প্রণয়নে নয়ছয়

| প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : ইউপি চেয়ারম্যানদের অসযোগিতার কারণে গাইবান্ধা জেলার অনেক এলাকায় এখনো কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ শুরু করা যায়নি। অথচ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অতিদরিদ্র কর্মহীন মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টির জন্য গত ১১ জানুয়ারি থেকে ৪০ দিনের এ কর্মসূচি শুরু করার কথা। আগামী ১১ মার্চ পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত দরিদ্র মানুষেরা ২শ’ টাকা হারে মজুরি পাবে। সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪ হাজার টাকার নিচে যাদের মাসিক আয় তারাই এ কর্মসূচির আওতায় আসার কথা। নিয়মানুযায়ী গত বছর যারা এ কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত হয়ে কাজ করেছে তারাই এ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। কিন্তু অনেক এলাকার নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বাররা সরকারের ওই নীতিমালা না মেনে অবস্থাপন্ন ও সম্পদশালী ব্যক্তিদের নাম নতুন করে তালিকা প্রণয়নের পরিকল্পনা করছেন। এজন্য মোটা অংকের অর্থও বাগিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে তালিকা প্রণয়নে বিলম্ব হচ্ছে এবং কাজও শুরু করা যায়নি বলে জানা গেছে। জেলা ত্রাণ দপ্তর জানিয়েছে, ফুলছড়ির ৭ ইউনিয়নে ২ হাজার ৪১১ জন এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধা ভোগ করবে। এ জন্য ফুলছড়ির জন্য ২ কোটি ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৮২৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে পুরাতন তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ায় গত বছরের তালিকাভুক্ত দরিদ্র অসহায় সুবিধাভোগীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। গত মঙ্গলবার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে ওই সুবিধাভোগী মানুষ মিছিল করে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা ২২শে ফেব্রæয়ারি জেলা প্রশাসকের নিকট ৪০ দিনের তালিকাভুক্ত নাম কর্তনের প্রতিবাদে স্মারকলিপি প্রদান করে। বক্তারা সুবিধাভোগীদের তালিকা বহাল রেখে দ্রæত কর্মসৃজন প্রকল্প চালু করার দাবি জানান। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার একটি ইউনিয়নেও এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা যায়নি। এছাড়া পলাশবাড়ি উপজেলায় আংশিক এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ওই দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা পুরাতন তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা প্রণয়ন করতে চান। এ কারণে সেখানে কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংকট দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানান। অপরদিকে চেয়ারম্যানদের অসযোগিতার কারণে অনেক এলাকায় এখনো কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্যাপুর ও সদর উপজেলায় প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ