রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আবদুল হালিম দুলাল, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) থেকে : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ১৩৮ নং কুমিরমারা বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় গত কয়েকদিন ধরে খোলা মাঠে তাঁবু টানিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে। পরিত্যক্ত ঘোষণার ৫ বছর পরেও স্কুল ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। গত সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষিকা খোলা মাঠে তাঁবু টানিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন। বিদ্যালয়ের আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করায় রোদের তাপ আর ধুলাবালিতে লেখাপড়া কর্যক্রম প্রায়ই ব্যাহত এবং অধিকাংশ শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী মিলে কুমিরমারা বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে স্কুলটি রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হলে ১৯৯৪ সালে ৪ কক্ষের একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে শিক্ষা ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ। এরপর ২৩ বছরেও স্কুল ভবনটি আর সংস্কার হয়নি। স্কুল ভবনটির পলেস্তরা ধসে রড বেরিয়ে গেছে। পিলার ও দেয়ালজুড়ে ফাটল দেখা দেয়ায় সেখানে পাঠদান অতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ২০১২ সালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্কুল ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এরপর সেখানে পাঠদান আর সম্ভব হয় না। এমন সংকটের মুখে স্কুল নিকটবর্তী আবু জাফর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুলের পুরাতন একটি টিনশেড ভবনে প্রাথমিক স্কুলের পাঠদানের জন্য ছেড়ে দেয়। সেই থেকে ধার করা এক কক্ষেই চলে আসছিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির লেখাপড়া। কিন্তু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধার দেয়া শ্রেণী কক্ষ ছেড়ে দিতে নোটিশ দিলে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিপাকে পড়ে। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আমেনা খাতুন শ্রেণীকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করা নিয়ে দুর্ভোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কর্তৃপক্ষ দ্রæত ভবন নির্মাণ না করলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো সম্ভব না। আপাততঃ তাঁবুর নিচে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, বৃষ্টি আসার আগেই বিকল্প ঘর না করতে পারলে ক্লাস বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামরুজ্জামান রিয়াজ মাতুববর জানান, গত পাঁচ বছর ধরেই বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চলছে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে। এখন তাঁবুর নিচে কোমলমতি শিশুদের খোলা স্থানে পাঠদান সম্ভব নয়। এব্যপারে ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন জানান, পরিত্যক্ত ভবনটির স্থানে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বহুবার কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানালেও কোনো সাড়া মেলেনি। ক্লাস করানোর জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে একটি টিনশেড ঘর নির্মাণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উন্নয়ন শাখায় জরুরি ভিত্তিতে চিঠি দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।