রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চরনাসিরপুর ইউনিয়নের জসীম মাতুব্বরের বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সদরপুর থানা পুলিশ প্রভাবশালী একটি মহলের ইন্ধনে ডাকাতির এ মামলাটি মারামারির ঘটনা উল্লেখ করে চার্জশিট দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জসীমউদ্দিন মাতুব্বর। এদিকে, মামলা তুলে নেবার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে মামলার আসামিরা। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে জসীমউদ্দিন মাতুব্বর। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ প্রশাসনের ত্বরিত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। প্রাপ্ত অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৮ অক্টোবর গভীর রাতে একদল ডাকাত জসীম মাতুব্বরের বাড়ীতে গিয়ে লোকজনদের বেঁধে ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায়। এসময় জসীম মাতুব্বর ডাকাতদের কয়েকজনকে চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। ডাকাতরা জসীম মাতুব্বরের স্ত্রী নাজমা বেগম ও মেয়ে বীথিকেও মারপিট করে আহত করে। ডাকাতির এ ঘটনায় জসীমউদ্দিনের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে সদরপুর থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। জসীম মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, থানায় একটি মামলা করা হয়। ডাকাতির এ মামলাটি পুলিশ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রভাবশালী মহলটি ডাকাতির ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে। সম্প্রতি পুলিশ ডাকাতির এ মামলাটি মারামারির ঘটনা উল্লেখ করে চার্জশিট দাখিল করে। যদিও মামলার বাদী আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের কয়েকজনকে সাক্ষী বানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া কয়েকজনকে এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে যারা ঘটনা সর্ম্পকে কিছুই জানেন না। মামলায় পুলিশ যাদের সাক্ষী বানিয়েছেন তাদের মধ্যে গনি মাতুব্বর ও দেলোয়ার মাতুব্বর জানান, তারা ডাকাতির ঘটনাটি শুনেছেন। এ মামলায় পুলিশ তাদের সাক্ষী বানালেও তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাছাড়া পুলিশ এ বিষয়ে তাদের কাছে কোন কিছুই জিজ্ঞাসা করেননি। এ বিষয়ে চরনাসিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আক্কাস আলী জানান, ডাকাত দল জসীম মাতুব্বরের বাড়ীতে হামলা করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা লুটে নেয়। তাছাড়া জসীম মাতুব্বরকে কুপিয়ে আহত করে। কিন্তু পুলিশ প্রভাবশালী একটি মহলের প্ররোচনায় ডাকাতির মামলাটি বাদ দিয়ে মারামারির ঘটনা উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। পুলিশ আসল ঘটনাটি আড়াল না করে ফের সঠিকভাবে তদন্ত করে রিপোর্ট দিবে বলে আশা করেন তিনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আক্কাস জানান, তদন্তে করে যা পাওয়া গেছে সেভাবেই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। মামলায় যাদের সাক্ষি হিসাবে দেখানো হয়েছে তারা কিছুই জানেন না এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।