রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রুহুল কুদ্দুস, কেশবপুর (যশোর) থেকে : গত আগস্টের বন্যায় যশোরের কেশবপুর পৌর শহরসহ অধিকাংশ এলাকা ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়। তলিয়ে যায় মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাটসহ অসংখ্য মৎস্য খামার। ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উঁচু রাস্তার পাশের টং ঘরে। তলিয়ে যাওয়া এ সমস্ত মৎস্য ঘের রক্ষায় চলতি শুষ্ক মৌসুমে ঘের ব্যবসায়ীরা সরকারি রাস্তা দখলে নিয়ে ৩/৪ ফুট উঁচু করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে সামনের বর্ষা মৌসুমে এ সমস্ত রাস্তাঘাট স্থায়ী জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে হাজার হাজার জনগণকে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হবে। কেশবপুর পৌর ও সদর ইউনিয়নে ২৫ থেকে ৩০টি মৎস্য খামার রয়েছে। অধিকাংশ মৎস্য খামারগুলো অপরিকল্পিতভাবে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধসহ সরকারি রাস্তা বেড়ি হিসেবে ব্যবহার করেই নির্মাণ করা হয়েছে। এরপরও কেশবপুর শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ হরিহর ও বুড়িভদ্রা নদী ভরাট হওয়ার কারণে গত আগস্টে কেশবপুর শহরে ব্যাপক বন্যা হয়। ফলে এখানকার অধিকাংশ মৎস্য খামার বন্যার পানিতে ভেসে যায়। চলতি শুষ্ক মৌসুমে মৎস্য ব্যবসায়ীরা ভেসে যাওয়া এসব মৎস্য খামার রক্ষায় রাস্তার দু’পাশ ৩/৪ ফুট উঁচু করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে সামনের বর্ষা মৌসুমে এ সমস্ত রাস্তায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। ফলে জনগণকে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হবে। পৌরসভার কাউন্সিলর জাকির হোসেন জানান, কেশবপুর ফতেপুর পাকা সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ। গত বছরের বন্যায় রাস্তাটি প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পানি নেমে গেলেও দীর্ঘ ৮ মাসেও রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। গত ২ বছর আগে এ রাস্তার আলতাপোল ঋষিপাড়ার পাশে ৬০ বিঘা জমি নিয়ে মাছের ঘের করেছেন ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম ও হোমিও ডাক্তার মাসুদুজ্জামান খান। গত বছর বন্যায় ঘেরটি পানিতে তলিয়ে যায়। তাই বন্যার হাত থেকে ঘেরটি রক্ষায় ঘের মালিকরা গত এক সপ্তাহ আগে থেকে রাস্তা দখলে নিয়ে ৩/৪ ফুট উঁচু করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া মৎস্য খামার মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ খতিয়াখালি ব্যাসডাঙ্গা পাকা সড়কের দু’পাশ দখল করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে পানি নিষ্কাশন পথ না থাকায় সামনের বর্ষা মৌসুমে এ সড়কগুলো পানি প্রবাহের ড্রেন হিসেবে ব্যবহার হবে। ফলে চলাচলে জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ভুক্তভোগীরা ঘের মালিকদের হাত থেকে এ সমস্ত সড়ক রক্ষায় কেশবপুরের সংসদ ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকসহ প্রশাসনে ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঘের মালিক কামরুল ইসলাম বলেন, ঘেরের মাছ রক্ষায় বেড়ি করা হয়েছে। কোনো সরকারি জায়গা দখল করা হয়নি। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার বলেন, যেহেতু ঘেরটি পৌরসভার ভেতর। সেহেতু আমার করার কিছুই নেই। কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, মাছ রক্ষায় যে কেউ বেড়ি করতে পারে। বিষয়টি অজানা নয়। তবে নিয়মবহির্ভূতভাবে করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ রায়হান কবীর বলেন, উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত হয়েছে রাস্তা থেকে ৬ ফুট দূর দিয়ে ঘেরের বেড়ি করতে হবে। রাস্তা দখল করে বেড়ি করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।