Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শ্রেণিকক্ষ-বেঞ্চের অভাবে পাঠদান ব্যাহত

প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:৫৯ পিএম, ৭ মার্চ, ২০১৭

জাহেদুল হক, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডী আনোয়ারুল উলূম দাখিল মাদরাসায় শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চের অভাবে শত শত শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। উপক‚লীয় জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের একমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এটি। জানা যায়, ১৯৭৩ সালের ১ মে এ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। এর কয়েক বছর পরেই সরকারি এমপিওভুক্তের আওতায় আসে মাদরাসাটি। ১৯৯৮ সালে সরকারিভাবে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুইকক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন পায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শঙ্খের ভাঙনে সেটিও বিলীন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় অনুদান নিয়ে পাশর্^বর্তী নিজস্ব জায়গায় তিনকক্ষ বিশিষ্ট আধাপাকা ভবনে মাদরাসাটি স্থানান্তরিত করা হয়। ২০১০ সালের ২ অক্টোবর এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন স্থানীয় সাংসদ প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। মাদরাসাটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত সরকারি কোনো উন্নয়ন বরাদ্দ পায়নি। বর্তমানে এ মাদরাসায় প্রায় আটশ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২০টি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন। কিন্তু কাঁচা ও আধাপাকা মিলিয়ে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাত্র সাতটি শ্রেণিকক্ষ আছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০ জোড়া বেঞ্চ প্রয়োজন হলেও মাদরাসায় রয়েছে মাত্র ১১০ জোড়া বেঞ্চ। বেঞ্চ সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা চাপাচাপি করে বসে। এতে করে মারাত্মকভাবে পাঠদান ব্যাহত হয়। আবার কিছু কিছু সময় শ্রেণিকক্ষের অভাবে মসজিদ ও মাদরাসার বারান্দায় পাঠদান কার্যক্রম চলে। মাদরাসাটিতে আধাপাকা একটি ছোট একাডেমিক ভবন থাকলেও তা ছাত্রছাত্রীর তুলনায় অপ্রতুল। অথচ নানা সমস্যায় জর্জরিত এই মাদরাসায় প্রতি বছর জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক। শ্রেণি শিক্ষক আবু ছৈয়দ জানান, শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চের অভাবে মাদরাসার অনেক শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে থাকে। তাই অনেক সময় বাধ্য হয়ে নিচে বসিয়ে ক্লাস নিতে হয়। মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী নাঈমা, মুনমুন, রোজিনা ও ছাত্র মনির, কাশেম, নাহিদ জানায়, বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। এই বিজ্ঞানের যুগে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। মাদরাসার সুপার মাওলানা মফিজ উদ্দিন সিকদার জানান, বর্তমান সরকার শিক্ষা সহায়ক সরকার। সরকার শিক্ষার উন্নয়নে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের উপবৃত্তি চালু করেছে। এ ছাড়াও সরকার শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চের অভাবে গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করতে হয়। সরকারি অনুদানে একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ আইয়ুব ইনকিলাবকে বলেন, প্রতিযোগিতার যুগে মেধাবীদের মেধাবিকাশ ঘটাতে শিক্ষার্থীদেরকে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারের পাশাপাশি ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধাও দিতে হবে। তাই একটি একাডেমিক ভবন জরুরি হয়ে পড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ