Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মতলব উত্তরের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা

| প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের ২ যুগ পার না হতেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার পর স্কুলে খোলা আকাশের নিচে ও টিনের ছাউনি দিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। কোনো কোনো ভবনে জীবনের ঝুঁকি জেনেও সেখানেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের মাত্র ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় উপজেলা শিক্ষা কমিটি উদ্বিগ্ন। ভবন নির্মাণের সময় তদারকির অভাব ছিল বলে মনে করেন উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। ১৯৯৬ সালে নির্মিত হয় মতলব উত্তর উপজেলার রামদাশপুর ও আনোয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবন। ২০১০ সালেই বিদ্যালয় দু’টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। নির্মাণের মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ১৯৯৬ সালে কয়েকটি ভবন নির্মাণের ১৫ বছরের মধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি উপজেলা শিক্ষা অফিসে সংরক্ষিত নেই। ১৯৯৬ সালে নির্মিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি পাকা ভবন ২০১৬ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়েছে। ২০১৬ সালেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা এমন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে কয়েকটি হলো দক্ষিণ চরমাছুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়ুরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর লুধুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছেংগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিতারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তিপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইমামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইমামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট চরকালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুজাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়, আবুরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপাথালিয়া প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়, কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব লালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর মান্দারতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়গুলো নির্মাণের মাত্র ২০ বছরের মধ্যেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আরো কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ১৯৯৫-১৯৯৬ অর্থবছরে নির্মিত প্রায় সকল ভবনেরও একই অবস্থা। প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনগুলো ঘুরে দেখা গেছে, পরিত্যক্ত ঘোষণা করা ভবনের ছাদে বড় বড় ফাটল, ছাদের আস্তর খসে খসে পড়ছে, রড বেরিয়ে আছে। কোনোটির আবার ছাদের বিশাল আস্তর ধসে পড়ায় ছাদ দিয়ে খোলা আকাশ দেখা যায়। নির্মাণের মাত্র ২ যুগ পার না হতেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হচ্ছে যা দুঃখজনক ও নিন্দনীয় ক’জন অভিভাবক জানান এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান। তার বলেন  ভবন নির্মাণের সময় প্রকৌশল বিভাগ যথাযথভাবে তদারকি করলে এরকমটা হতো না। ঠিকাদাররা সাব-ঠিকাদার দিয়ে কাজ করালে ভবন পরিত্যক্ত হবেই। এ ব্যাপারে মতলব উত্তর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এনামুল হক জানান, সরেজমিনে  দেখে-শুনেই আমরা পাকা ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করে থাকি। একটি পাকা ভবন কমপক্ষে ৫০ বছর টেকা উচিত বলে আমি মনে করি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কবির হোসেন জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক ভবনই ব্যবহার অনুপযোগী। তবে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমেই ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ