বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : আজ ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে সরকার দলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। অপরদিকে, সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে বিএনপি। ইতোমধ্যে বিএনপি’র এই আসনের সাবেক এম.পি সেলিম রেজা হাবিবের উপর হামলা, বিএনপি মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজারী জাকির হোসেন চুন্নুর বাড়ি-ঘরে ও তাঁর কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা, জেলা পর্যায়ের বিএনপি’র শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নির্বাচনের সুষ্ঠু নিয়ে শংকা তীব্র আকার ধারণ করেছে। তারা (বিএনপি) মনে করছে, তাদের ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেবে না সরকার দলীয় লোকজন। যে কারণে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ হবে না। পেশিশক্তির জোরে কেন্দ্র দখল করে ভোট নিয়ে নেবে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী। আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও সমর্থকরা এমনটি মনে করছেন না। তারা বলছেন, ভোটে নিশ্চিত পরাজয় হবে এটা জেনে তারা (বিএনপি) আগে থেকেই অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। ভোট শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হবে। এদিকে, সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
বিগত ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কাশেম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
গত বছরের ১ অক্টোবর আবুল কাশেমের মৃত্যুতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়। ১ ফেব্রæয়ারি তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ থেকে আব্দুল কাদের রোকন ও বিএনপি থেকে হাজারী জাকির হোসেন চুন্নুকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়। বড় দুই দলের একক প্রার্থী হওয়ায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশন ভোটারদের শংকামুক্ত অবস্থায় ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করার উপর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।