Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউনূস ৫টি নোবেল কিনে আনলেও কারো কিছু যায় আসে না

অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমলোচনা সংসদে

| প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঁচটি নোবেল পুরস্কার ক্রয় করে নিয়ে আসলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা তাকে কোনো সম্মান ও প্রশংসা করতে যাবো না। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে প্রেসিডেন্টের ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি জোটের শরিক সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা একথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে খবরের কাগজে দেখলাম প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূসের প্রশংসা করার জন্য অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমলোচনা করেছেন। অর্থমন্ত্রী কেনইবা ইউনূসের প্রশংসা করতে গেলেন? কি কারণ খুঁজে পেলেন? ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি সুদখোরের চেয়ে আর কিছুই নয়। সেই ইউনূসের কেন প্রশংসা করতে গেলেন? আমি অর্থমন্ত্রীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে বলতে চাই, এই প্রফেসর ইউনূস মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন কি না, তাও জানা নেই। তাকে কোনোদিন শহীদ মিনারে যেতে দেখিনি। অতএব তিনি যদি পাঁচটা নোবেল পুরস্কার ক্রয় করে নিয়ে আসেন, তাতেও আমাদের কিছু যায় আসে না। কারণ আমি বাঙালি জাতির প্রতি আস্থাশীল। অতএব ইউনূসকে আমরা কোনো সম্মান জানাতে যাবো না। প্রশংসা করতেও যাবো না।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আট বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার সংগ্রাম করছি। তখন যে ব্যক্তিটি সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তার প্রশংসা কেউ করতে পারে, এটা বিশ্বাস করতে পারি না। আমার মনে হয় অর্থমন্ত্রী স্বতঃস্ফ‚র্ত ও আবেগপ্রসুতভাবে প্রশংসা করে ফেলেছেন। তিনি এটা মন থেকে করেছেন, বিশ্বাস হয় না। এ ব্যাপারে তিনি অবশ্যই পরিস্কার একটা বক্তব্য দেবেন।
ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে হাইকোর্টে ন্যায়বিচারের প্রতীক ভাস্কর্যকে অপসারণের জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে। এটা যদি আমরা প্রতিরোধ করতে না পারি, তাহলে একদিন অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর্যও ‘মূর্তি’ বলে ভাঙার জন্য তারা এগিয়ে আসবে। তাই আমরা যদি আপোষ ও সমঝোতা করি তাহলে আরো আঘাত আসবে। তাদের সঙ্গে আপোষ না করে তাদেরকে প্রত্যাখান করে এগিয়ে যেতে হবে।



 

Show all comments
  • Nur- Muhammad ৬ মার্চ, ২০১৭, ৪:৪১ পিএম says : 1
    সন্মান করতে শিখুন। আর সন্মান করতে না পারলে চুপ থাকুন। সংখ্যা গরিষ্ট মানুষের মনে আঘাত দিবেন না। আপনি ও আপনার দল অন্ধ? আপনারা কি দেখেন না? ডঃ ইউনুছ শুধু বাংলাদেশ নয়,পুরু পৃথিবীর মানবতার জন্য কাজ করছেন। তাই তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ইউনুছ আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। নিরপেক্ষ ভোট হলে ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার ভোট পান কিনা সন্দেহ আছে। তা হলে এত দান্ভিকতা করেন কেন? অহংকার পরিত্যাগ করুন। সকল মতামতকে সন্মান করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ৬ মার্চ, ২০১৭, ৬:৩০ পিএম says : 0
    জনাব বাদশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর হাইকোর্ট এক করলেন কেন? ঢাঃ বিঃ নিদিষ্ট একটি এককের প্রতিনিধিত্ব করে আর হাইকোর্ট পুরু দেশ ও জাতীর প্রতিনিধির কাজ করে। দ্বিতীয়তঃ মুসলমান হিসাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন কিনা জানি না, নামাজ অবশ্যই পড়েন। নামাজের সময় আপনি কি মূর্তি সামনে রেখে নামাজ পড়বেন? অবশ্যই না। জাতীয় ঈদগায়ে মূর্তী রেখে কি ভাবে নামাজ পড়বেন। জাতীর কাছে উত্তর দেন জনাব বাদশা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ