Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাজাপুরের এসিডদগ্ধ রেবা’র ঘরে পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগ

| প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


দেশ ছাড়ার হুমকি!
রাজাপুর (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা : ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে এসিডদগ্ধ রেবা ইয়াসমিনের ঘরে পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে তাকে এসিডদগ্ধকারী প্রতিপক্ষরা। এমনকি যেই প্রতিপক্ষরা তাকে দেশ ছাড়ার হুমিকও দিচ্ছেন।
এ ছাড়াও তার নামে একাধিক মামলা দিয়েও হয়রানি করছে বলে রোববার নিজ বাড়ি বড়ইয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেবা ইয়াসমিন এসব অভিযোগ করেন। এ সময় তার স্বজন ও প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে জানান, এসিডদগ্ধের সোলে সূত্রে পাওয়া ওই জমিতে কয়েক মাস পূর্বে ঘর উত্তোলন করলে প্রতিপক্ষরা ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে ঘরের মধ্যে থাকা বোনের ছেলে শহিদ হোসেনকে আটক রেখে শনিবার ভোররাতে পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। শহিদের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে দরজার ছিটকানি ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, এমনকি পুলিশ ঘটনাস্থলেও যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে রেবা ইয়াসমিন আরো অভিযোগ করে জানান, এইচএসসি পাস করার পর পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ে ঠিক করে এবং গত ১৫ মে ২০০০ ইং তারিখে বিয়ের দিন ভোররাতে একই গ্রামের মৃত মইনুদ্দিন হাওলাদারের বখাটে ছেলে সন্ত্রাসী ফারুক হাওলাদার তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে রেবার বাড়িতে এসে এসিড নিক্ষেপ করে রেবার সমস্ত শরীর ঝলসে দেয়। পরে এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন এবং দীর্ঘদিন মামলার চলার পর আসামিরা সাজা নিশ্চিত জেনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে রেবার নামে ৯০ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে মিমাংসা হয়। বর্তমানে রেবা ঢাকার একটি এনজিওতে চাকরি করেন এবং তিন বছর পূর্বে রেবার বাবাও মারা যান। এ সুযোগে তাকে দেয়া ৯০ শতাংশ জমির ২৭ শতাংশ রেখে বাকি জমি প্রতিপক্ষ মৃত আদম আলীর ছেলে সন্ত্রাসী ফারুক, তার ভাই বেলায়েত, মান্নান ও হাতেম আলীর ছেলে মতিন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে দখলে নেয়। বর্তমানে এ ২৭ শতাংশ জমিও দখলে নেয়ার জন্য প্রতিপক্ষ রেবার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, দেশ ছাড়া করার হুমকি এবং গত শনিবার ভোররাতে ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে ঘরের মধ্যে থাকা বোনের ছেলে শহিদ হোসেনকে আটক রেখে পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে পালানোর সময় প্রতিপক্ষদের চিনে ফেলে শহিদ এবং অগ্নিসংযোগে ব্যবহৃত কাপড়ও প্রতিপক্ষদের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ্য করা হয়। রাজাপুর থানার ওসি তদন্ত হারুন অর রশিদ জানান, অভিযোগ দিয়েছে কি না বিষয়টি দেখতে হবে, দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে রেবা ইয়াসমিন প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ