Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মুকুলে পরিপূর্ণ ১৮ আমগাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা

পূর্ব শত্রুতার জেরে ইউপি সদস্যের মদদ

| প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ১৮টি আমগাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তানোরের তালন্দ ইউপির নারায়নপুর গ্রামে আম গাছ নিধনের এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য হাসেম আলীর নেপথ্য মদদে নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল মাস্টারের পুত্র মামুনুর রশিদ মামুন ও সেলিম রেজা লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে গত শনিবার এসব গাছ নিধন করেছেন। এ ঘটনায় গত শনিবার সকালে সাহানারা বেগম বাদি হয়ে মামুন ও সেলিমকে আসামি করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি ভুটভুটি আটক করে আনলেও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেননি। তবে আসামি মামুন ও সেলিম প্রকাশ্যে এলাকায় চলাফেরা করছে এমনকি অভিযোগ তুলে নিতে ছাবেদ আলীর পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এসব আমগাছ নিধনে মামুন ও সেলিম অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছেন। তারা ছাবেদ আলীর বিরুদ্ধে কথিত অভিযোগে থানায় মামলা করেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশ ছাবেদ আলীসহ তিনজনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। আর এই সুযোগে গত শনিবার সকালে মামুন ও সেলিম তাদের লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ছাবেদ আলীর বাগানের এসব গাছ নিধন করেন। জানা গেছে, তানোরের তালন্দ ইউপির নারায়ণপুর মৌজার ১৬২৫ ও ১৮ নম্বর দাগে প্রায় ৫৫.৭৫ শতক জমির ওপর প্রায় ১০ বছর পূর্বে প্রায় ৫০টি আমগাছ লাগান নারায়ণপুর গ্রামের মৃত আবী গায়েনের পুত্র ছাবেদ আলী গায়েন দিগর। স্থানীয়রা জানান, ছাবেদ আলীর স্বজনরা প্রায় ২০ বছর ধরে ওই সম্পত্তি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু গ্রামের প্রভাবশালী মামুন ও সেলিম ওই সম্পত্তি জবরদখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে নানা অপতৎপরতা করেও জবরদখলে ব্যর্থ হয়। কিন্তু হাসেম মেম্বারের নেপথ্যে সহায়তায় এবার তারা ছাবেদ আলীর বিরুদ্ধে থানায় কথিত অভিযোগে মামলা দিয়ে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের পর ওই সম্পত্তির এসব আমগাছ নিধন করেছেন। এদিকে মুকুলে পরিপূর্ণ আমগাছগুলোর বয়স মাত্র ৭ থেকে ১০ বছর। এতঅল্প বয়সের আমগাছগুলো নির্বিচারে নিধন করায় খোদ গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এব্যাপারে মামুনুর রশিদ মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আদালতের রায় পাওয়ায় তারা গাছ কেটেছেন। তিনি বলেন, তাদের সম্পত্তির গাছ তারা কেটেছেন এতে আবার অনুমতির কি প্রয়োজন। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মির্জা আব্দুস সালাম বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে আসামিদের গ্রেফতার ও জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সাহানারা বেগমের অভিযোগও পাওয়া গেছে, তার অভিযোগেরও তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে তানোর উপজেলা বন কর্মকর্তা দেবাশীষ দে বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তির ওপর থেকেও এভাবে মুকুলসহ ছোট ছোট আমগাছ নির্বিচারে নিধন করা দÐনীয় অপরাধ ও অমানবিক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ