Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পঞ্চগড়ের নদ-নদীতে পানি নেই

| প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা : ভারত উজানে বাঁধ নির্মাণ করায় পঞ্চগড়ের নদ-নদীগুলো এখন শুকিয়ে খাঁ খাঁ করছে। এর কারণে বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ছে এ অঞ্চলে। মাঠ-ঘাট শুকিয়ে যেন মরুভূমি হওয়ার মতো অবস্থা। নদীতে ¯্রােত ও পানির ধারা বহমান না থাকায় আস্তে আস্তে নদীর দু’পাশে জমিতে পরিণতসহ বারুর স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর চিহ্ন হারাতে বসেছে। করতোয়া নদীতে চর জেগে ওঠায় অনেকে বোরো ধানের আবাদ করছে। নদীমাতৃক হিসেবে পরিচিত দেশ বাংলাদেশ তার চিরচেনা সবুজ ভূমি তার বৈচিত্র্য হারাতে বসেছে। যদি বাংলাদেশ তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে না পারে, তাহলে জেলায় জেলায় নদী আর নদী থাকবে না। জেলার করতোয়া নদীতে চলছে বোরো আবাদের ধুম। অন্য সব যেমনÑ ডাহুক, ভেরসা, তালমাসহ অপরাপর সব নদী যেন আর নদী নেই। যেখানে সেখানে পাথর তুলে নদীর চিহ্ন হারিয়ে গেছে। যে যার মতো করে কেউ ড্রেজার, কেউ বোমা, কেউ ডিজেলচালিত নানা নামে নানা রকম মেশিন দিয়ে পাথর তুলে নদীর চেহারা বদলে দিয়েছে। ভারত ৯০ দশকে তাদের অভ্যন্তরে বাঁধ নির্মাণ করে নদীর পানি তাদের জমিতে ফিরিয়ে নিয়েছে, যা তেঁতুলিয়ার পুরাতন বাজারে গেলে দেখা যায় মহানন্দা নদীর পানি তারা কিভাবে ফিরিয়ে নিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ভ‚খÐে নদী শাসন যেন তার অতীতকে ভুলে গেছে। কারণ পানির ¯্রােত থাকলে সেটা এক ধরনের প্রেক্ষাপট আর পানি না থাকলে সেটিও অন্য এক প্রেক্ষাপট এসব নানা কারণে পরিবেশের ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। এর জন্য শুষ্ক মৌসুমে নানা রকম প্রাকৃতিক চিত্র- বৈচিত্র্যের রূপ ফুটে ওঠে, যা একেবারে নেতিবাচক। এতে আগামী দিনে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াবে। বিষয়টি আমাদের এখনি ভাবা বড় বেশি প্রয়োজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ