বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষার্থী ও শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে অভিভাবক সমাবেশ করেছে নারী শিক্ষা প্রসারে এগিয়ে চলা ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ। শিক্ষার উন্নত ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা এবং ছাত্রীদের পড়ালেখার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার এ আয়োজনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে অভিমত পোষণ করেছেন অভিভাবকরা। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তিন ধাপে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ঘিরে একাদশ শ্রেণির প্রথমবর্ষের ছাত্রীদের প্রায় দেড় হাজার অভিভাবকের মিলনমেলা ঘটে। সমাবেশে কলেজ শিক্ষকরা অভিভাবকদের করণীয় বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অভিভাবকরাও বক্তব্যে পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের দায়িত্বশীলতার বিষয়টি তুলে ধরেন।
শিক্ষার মানোন্নয়ন তথা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন ও শতভাগ পাশের উদ্দেশকে সামনে রেখে একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের দেড় হাজার অভিভাবক নিয়ে তিনধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ সমাবেশ। কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রুহুল আমিন ভূইয়ার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ব্যতিক্রমী এ আয়োজন অভিভাবক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। শিক্ষকদের সাথে ছাত্রীদের পড়ালেখা ও কলেজের পরিবেশ নিয়ে অভিভাবকদের এ মুখোমুখি আয়োজনে উঠে আসে পড়ালেখার গুণগত মান ধরে রাখার এবং অভিভাবক ও শিক্ষকদের দায়িত্বের বিষয়। সমাবেশে কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, ছাত্রীদের কেবল কলেজে পাঠিয়ে দিয়েই অভিভাবকদের দায়িত্ব শেষ হয় না। সন্তানের বিষয়ে খোঁজ রাখতে হবে সে নিয়মিত কলেজে আসলো কিনা। এছাড়াও বাসায় নজরদারি থাকতে হবে সে ঠিকমতো পড়ালেখা করছে কিনা। এসএসসির পাঠ চুকিয়ে কলেজ জীবনে এইচএসসির যাত্রাপথ অনেক কঠিন। আর এসময়টিতে অভিভাবকের দায়িত্ব, নজরদারিতে ভাটা পড়লে তার কলেজ শিক্ষাজীবন কঠিন হয়ে পড়বে। আর কলেজে পাঠদানের বিষয়ে কোন ছাত্রী যদি সমস্যা অনুভব করে তা কলেজ কর্তৃপক্ষ বা অভিভাবককে জানাবে। তাতে সমস্যা সমাধানের জায়গাটি সহজ হয়ে উঠবে এবং কলেজের সাথে সুসম্পর্ক-সমন্বয় স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষক, ছাত্রী ও অভিভাবক ঘিরে একটি সঠিক দিকনির্দেশনামূলক পরিবেশ গড়ে উঠবে। উপাধ্যক্ষ বলেন, একাদশের আগামী ফাইনাল পরীক্ষায় নুন্যতম ডি না থাকলে দ্বিতীয়বর্ষে প্রমোশন দেয়া হবে না। এব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কলেজে সুষ্ঠু ও নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে। আর তা বজায় রাখতে পুরো কলেজকে সিসি ক্যামেরায় আওতায় আনা হবে। সমাবেশে কলেজের বাংলা বিভাগীয় প্রধান ড. আবু হেনা এম আবদুল আউয়াল, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ভূইয়া বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে অভিভাবকরা এ ধরণের আয়োজন ছাত্রীদের জন্য গৃহিত পদক্ষেপ, সমন্বয় ও বাস্তবায়নের সুবিধার্থে শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নকে এগিয়ে নেবে বলে অভিমত পোষন করেন। অভিভাবকরা বলেন, কলেজে নিয়মিত ক্লাস হতে হবে। শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের বেশি সময় অনুপস্থিতির বিষয়টি অভিভাবকদের জানাতে হবে। ছাত্রীরা যাতে বাইরে কোচিং নির্ভর না হতে পারে এজন্য শিক্ষকদের ভূমিকা থাকতে হবে। কেননা কোন অভিভাবকই চায় না বাড়তি অর্থ ব্যয় হোক। আর মেধায় পিছিয়ে থাকা ছাত্রীদের প্রতি শিক্ষকদের যতœশীল হতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।