রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান অঞ্চলের রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার বিচারের দাবিতে ব্যতিক্রম প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ‘ইত্যাদি খ্যাত’ কুড়িগ্রামের আব্দুল হাই মাস্টার। গত ২৫ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত প্রতিবাদ কর্মসূচির লক্ষ্যে একটি লংমার্চে অংশ নেন তিনি। একই কর্মসূচির পথসভার অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার তিনি রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় পৌঁছেন। পরে উপজেলার মুড়াপাড়া মঠেরঘাট এলাকার প্রেসক্লাব কার্যালয় থেকে পথসভা করেন। পথসভায় সাংবাদিক খলিল শিকদার, এসএম শাহাদাত, জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, গোলাম কাউসার দিলু, সাইফুল ইসলাম, দুলাল ভুইয়া, মাহবুব আলম প্রিয়, সুমন মজুমদার, আতাউর রহমান সানি, আল-আমিন মিন্টু, রুবেল মাহমুদ, এমএইচ বিজয়, তুষার আহাম্মেদ, সুজন, আহাম্মদ আলীসহ আরো অনেকে অংশগ্রহণ করেন। পথসভা শেষে তিনি রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। মতবিনিময়কালে রূপগঞ্জের পথসভায় আব্দুল হাই মাস্টার জানান, একজন মুসলিম সন্তান হিসেবে বিগত কয়েক মাস যাবৎ মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের রাখাইন অধ্যুষিত এলাকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর সেদেশের সরকারী বাহিনীর নির্যাতন, গণহত্যা ও অত্যাচারের খবর তাকে ব্যথিত করে। ফলে প্রতিবেশি দেশের নাগরিক হিসেবে লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। প্রথমে সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা দিয়ে টেকনাফের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলেও অটোচালক অসুস্থ হওয়ায় বাসযোগেই লংমার্চ শুরু করেন। বিভিন্ন জেলায় পথসভা শেষে গতকাল শনিবার রূপগঞ্জে অবস্থান নেন তিনি। এ সময় তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী মুসলিম হত্যার বিচার ইস্যুটিকে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার করতে হবে। উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও চর ভুরুঙ্গামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই মাস্টার চেয়ারম্যান থাকাকালীন তার নির্বাচনী এলাকায় নিঃস্বার্থ সমাজসেবায় স্থানীয়ভাবে সুপরিচিত। তার সমাজসেবায় ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে বিশেষ অবদানের জন্য বিটিভিতে প্রচারিত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘ইত্যাদি’তে গত ৪ অক্টোবর ২০১৩ একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।