বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণে রক্ত দিয়ে বাধ্য করা হবে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
স্টাফরিপোর্টার : পুলিশি বাধায় ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের পূর্বঘোষিত মূর্তিবিরোধী মানববন্ধন করতে দেয়নি শাহবাগ থানা পুলিশ। গতকাল সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণের দাবিতে পূর্বঘোষিত মানববন্ধনের জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা সমবেত হলে পুলিশ তাদের প্রতিহত করে। এর প্রতিবাদে পুরানা পল্টনের কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ বিভাগ ও জনসংখ্যা অনুযায়ী বাংলাদেশ মুসলিম দেশ। এ দেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন করে মূর্তি নির্মাণকারীরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ী হতে হবে। মূর্তি কিভাবে সরাতে হয় তা এদেশের ইসলামী জনতা জানে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশকে মূর্তির দেশ-শিরকের দেশে পরিণত হতে দেয়া হবে না। এ দেশ মুসলিম দেশ। মসজিদ, মাদরাসা ও আলেম-ওলামার দেশ। এদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনের মূর্তি রক্ত দিয়ে হলেও অপসারণে বাধ্য করা হবে। তারা বলেন, দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে মূর্তি স্থাপন সম্পর্কে সরকার কিছুই জানে না। আইনজীবীরা জানে না। বিচারপতিরা একমত নয়। তাহলে মূর্তি স্থাপন করলো কে কোন আইনে, কাদের ইশারায়। ইসলামবিরোধী বে-আইনি মূর্তি স্থাপন করে নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। মূর্তি কিভাবে স্থাপিত হল তা দেশবাসী জানতে চায়। মূর্তি স্থাপনের অশুভ চক্রান্তকারীর বিচার করতে হবে।
সংগঠনের মহানগরী আমির মোস্তফা বশীরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির আমির ড. মওলানা মুহাম্মাদ ঈসা শাহেদী, বিশেষ অতিথি ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারী অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, আরও বক্তব্য রাখেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা সাখাওয়াত হুসাইন, অর্থ সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমদ, অফিস সম্পাদক মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, ঢাকা মহানগরী সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হযরত আলী, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আজমল হোসেন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুর রহমান প্রমুখ।
ড. ঈসা শাহেদী বলেন, কোনো মহলের সাথে সলা পরামর্শ ছাড়াই সুপ্রিম কোর্টের ছুটিকালীন সময়ে জনগণের আস্থার কেন্দ্রটিতে গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপন এ দেশের জাতীয় ঐতিহ্য, ধর্মীয় চেতনা ও বিশ্বাসের উপর চরম আঘাত। সরকারের বোঝা উচিত যে, অতিসত্তর ঐ মূর্তি অপসারণ করা না হলে সামনে রমযান ও ঈদে লাখ লাখ মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহে মূর্তি সামনে নিয়ে ঈদের নামায পড়বে না।
মোস্তফা তারেকুল হাসান বলেন, সরকারের নির্দেশে হোক অথবা প্রধান বিচারপতির নির্দেশে হোক মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। মুসলমানদের কাছে ন্যায় বিচারের প্রতীক পবিত্র আল কোরআন অথবা আল্লাহ রাসূল (সাঃ)-এর বাইরে কোন ন্যায় বিচারের প্রতীক বাংলাদেশে হতে দেয়া হবে না। অবিলম্বে মূর্তি অপসারণ করতে হবে। তা না হলে কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে মূর্তি অপসারণে বাধ্য করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।