Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আউট ড্রেন ব্যবস্থা না থাকলে পড়বে ঝুঁকির মধ্যে

আশাশুনিতে ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাইপাস সড়ক

| প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে : আশাশুনিবাসীর আশীর্বাদ হিসাবে নির্মাণাধীন আশাশুনি বাইপাস সড়ক ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সামান্যের জন্য শংকামুক্ত না হওয়ায় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের দ্রæত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলে অভিজ্ঞজনরা মনে করছেন।
১৯ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দে ৪.৪ কিঃ মিঃ বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলেছে। সড়কটি নির্মিত হলে আশাশুনি উপজেলা সদর জলোচ্ছ¡াস, বলাবাড়িয়া ভাঙ্গন ঝুঁকিসহ নানা সমস্যা থেকে মুক্ত হবে এবং আশাশুনি সদরের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একধাপ অগ্রগতি ঘটবে। জমি অধিগ্রহণ শেষে বাইপাস সড়কের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের প্রথম দিকে। সড়কটিতে পিচ ঢালাই হবে ১২ ফুট। উভয় পার্শে ৬ ফুট করে ১২ ফুট সাইড সোল্ডার হবে। ¯েøাব ১:২। সড়কের উচ্চতা ১০-১২ ফুট। দীর্ঘ সড়কটি নির্মাণের জন্য ৯০ ফুট থেকে ১০০ ফুট চওড়া করে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ফলে উভয় পাশে প্রায় ১৫ ফুট করে জমি অতিরিক্ত রয়ে যাচ্ছে। সড়কটি দু’পাশে মাটির বাঁধ দিয়ে ভিতরে বালিদ্বারা ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে। এই সড়কের দু’পাশে রয়েছে লবণ পানির মৎস্য ঘেরের মাছ চাষের বিশাল এলাকা। বর্তমানে এসব মৎস্য ঘেরে পানি শুকিয়ে রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই মৎস্য ঘেরে পানি ভরে দিয়ে মাছের রেণু ছাড়া হবে। তখন লবণ পানি অনায়াশে সড়কের তলদেশে ঢুকবে। বর্ষা মৌসুমসহ সারা বছরই ঘেরের পানির ঢেউ এই সড়কে আছড়ে পড়লে রাস্তার মাটিতে ধস নামবে। তখন মহামূল্যবান সড়কটি ভাঙ্গতে শুরু করবে। আর একবার ভাঙ্গা শুরু হলে ভিতরের বালি ভরাটের অংশ কতক্ষণ টিকবে সন্দেহ রয়েছে। তখন কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটির সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রধান প্রধান সড়ক রক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করলে, তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে উপজেলার সকল ঘের মালিককে তাদের ঘেরে সরকারি রাস্তার পাশে পৃথক বাঁধ দিয়ে আউট ড্রেন করার জন্য মাইকিং করেছেন। যাতে ঐ সড়কগুলো পানি ও ঢেউ এর ক্ষতি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুরুল করিম বলেন, ৪.৪ কিমি সড়কের মধ্যে ১ কিমি এর জন্য প্যালাসাইটিং কাজ করা হবে। এই অংশ টুকু প্রটেকশানে থাকবে। বাকি এলাকা মৎস্য ঘেরের অব্যবস্থাপনা থাকলে নিরাপদ নয়। সুধীজন মনে করেন এখানেসহ পুরা এলাকায় মৎস্য ঘের মালিকদের আউট ড্রেন ব্যবস্থা করে মৎস্য ঘেরকে পৃথক বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। তাহলে সড়কটি ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। এই সড়কটিকে একইভাবে আউট ড্রেনেজ ব্যবস্থার আওতায় আনতে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে এলাকাবাসী মনে করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ