Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুস্থ নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের বস্তায় মাপে কম বিপাকে সংশ্লিষ্টরা

| প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নে ভিজিডি (ভলনারেবল গ্রæপ ডেভেলপমেন্ট) কার্ডের জন্য খাদ্য গুদাম থেকে আমদানি করা প্যাকেট বন্দি দুস্থ নারীদের মধ্যে বিতরণ করা চালে মাপে কম হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সরবরাহকৃত চালের প্যাকেট বন্দি বস্তা অক্ষত থাকলেও বস্তা প্রতি ৩০ কেজির স্থলে ২৪ কেজি হওয়ায় উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পড়েছেন বিপাকে। জানা গেছে ওই ইউনিয়নে মোট ১৩১ জন ভিজিডি কার্ডধারী রয়েছেন। দুস্থ নারীদের জন্য ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা। গত বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন ভবন থেকে ওই চাল বিতরণ করার পর প্যাকেট বন্দি অক্ষত বস্তা থাকা সত্তে¡ও ওজনে কমের বিষয়টি নজরে আসে। পরে খবর পেয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাসউদা হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্যাকেট বন্দি অক্ষত অবস্থায় ১১টি বস্তা জব্দ করে নিয়ে আসেন। জব্দ করা বস্তায়ও দেখা যায় ৩০ কেজির স্থলে প্রতি বস্তায় ২৪ কেজি ৪০০ গ্রাম চাল রয়েছে। চাল কম হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ায় চেয়ারম্যান পড়েছেন বিপাকে। এ নিয়ে সম্প্রতি একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় প্রতি পক্ষ একটি গ্রæপ ও কতিপয় ইউপি সদস্য তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। চেয়ারম্যান খাদ্য গুদাম থেকে যে বস্তাগুলো নিয়ে এসেছেন খাদ্য গুদামের কতিপয় লেভার প্রতিপক্ষের সাথে যোগসাজশে তাকে বিপাকে ফেলানোর জন্য মাপে কম দিয়ে বস্তাগুলো প্যাকেট করেছেন অথবা ইউনিয়ন ভবনে রক্ষিত বস্তাগুলো থেকে চাল সরিয়ে তাকে বিপাকে ফেলানোর চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে নাছিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অসম্ভব জনপ্রিয়তা নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিপক্ষ একটি স্বার্থাম্বেষী মহল আমার শুনাম নষ্ট করে বিপাকে ফেলানোর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তারই অংশ হিসাবে চাল কম দিয়ে বস্তাগুলো সরবরাহ করেছে। গুদাম থেকে সরবরাহকৃত বস্তায় চাল ওজনে কম হলে এর দায়িত্ব কার? তিনি আরও বলেন সম্প্রতি একটি পত্রিকার প্রতিবেদককে ভুল তথ্য দিয়ে পরিবেশন করা সংবাদে আমাকে হেয় করার জন্য খাদ্য গুদামের কর্মকর্তার বরাতে আমাকে খাদ্য বিভাগের ডিলার উল্লেখ করা হয়েছে। আমি কোনদিনই খাদ্য বিভাগের ডিলার ছিলাম না। এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাসউদা হোসেন বলেন আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১টি বস্তা জব্দ করি। বস্তাগুলো অক্ষত অবস্থায় থাকলেও প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি চালের স্থলে ২৪ কেজি চাল রয়েছে। তার আগেই ১২০ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এর সাথে কে জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে বের করা হবে। এ প্রসঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত প্রতিটি বস্তাই ৩০ কেজি করে প্যাকেট করা হয়েছে। বস্তায় চাল কম দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাছাড়া চাল গ্রহণ করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান অথবা তার প্রতিনিধি সরেজমিন মেপে বুঝে গ্রহণ করে থাকে। বস্তা প্রতি কমের বিষয়টি খাদ্য গুদাম থেকে বের হওয়ার পর ঘটেছে। বস্তা থেকে ৫/৬ কেজি চাল বের করে আলাদা করা এমন কিছু নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ