রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা : সাতক্ষীরার শোভনালীতে মাছের ঘেরে সন্ত্রাসীদের দায়ের কোপে তিনজন মারাত্মক আহত হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরা হলেন- আশাশুনি উপজেলার স্বরাফপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আলিম উদ্দিন, তার ছেলে আলমগীর হোসেন ও একই গ্রামের আব্দুল মতিন সরদারের ছেলে আব্দুল কাদের। গত বৃহস্পতিবার সকালে আশাশুনি উপজেলার শোভনালি ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের কোল ঘেরে এ ঘটনা ঘটে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলিম উদ্দিন ও তার স্বজনরা জানায়, সাতক্ষীরার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বসির আহমেদের হাজীপুর গ্রামের কোল ঘের নামক মাছের ঘেরে কয়েক বছর যাবৎ তিনি, তার ছেলে আলমগীর, কাদেরসহ কয়েকজন কর্মচারি হিসেবে রয়েছেন। ৭০ বিঘার ওই মাছের ঘেরে বুধবার (১ মার্চ) রাতে এলাকার রমজান, মইনুল, সাহাবুদ্দিন, পিচিরসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের ঘেরের বাসা থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি ঘের মালিক বসির আহমেদকে জানানো হলে তিনি থানা পুলিশের আশ্রয় গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে পুলিশি সহায়তায় তারা (কর্মচারিরা) আবারো ওই ঘেরের বাসায় ওঠেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে রমজান, মইনুল, সাহাবুদ্দিন, পিচিরসহ সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বাসা ঘর ভাঙচুর ও লুঠপাট করে। এ সময় বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা দা ও লোহার রড দিয়ে তাদের কুপিয়ে এবং পিটিয়ে ঘেরে ফেলে রাখে। এছাড়া, আলমগীর হোসেনকে তারা মারাত্মক আহত অবস্থায় অপহরণ করে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা মিলনের বাড়িতে আটকে রাখে। পরে পুলিশ অভিযানে গেলে আলমগীরকে মিলনের বাড়ির পাশে ফেলে রাখে সন্ত্রাসীরা। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিক বসির আহমেদের সহোদর সালাউদ্দিন লাল্টু জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আশাশুনি থানার এসআই পিযুজ মারপিটের ঘটনা ও অপহৃত আলমগীরকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কোনা অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহীন সাংবাদিকদের জানান, বুধবারের ঘটনায় বশির আহমেদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হলে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নতুন করে এখনো কোনা অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি। অভিযোগ এলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।