Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাদ্যদ্রব্য

প্রশাসনের নীরবতায় রাঙ্গুনিয়ার বেকারি মালিকরা বেপরোয়া

| প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে : বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটসহ (বিএসটিআই) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও অনুমোদন ছাড়া রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায় অর্ধশতাধিক খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান (বেকারি) উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা এসব ভেজাল খাদ্য উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন বাজারে নি¤œমানের পণ্য বিক্রি হচ্ছে। অবৈধ বেকারিগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসন, বিএসটিআই, স্বাস্থ্য পরিদর্শকের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে বেকারি কারখানাগুলো। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাঝেমধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হলেও অধিকাংশ বেকারি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। জানা গেছে, উপজেলার পোমরা, শান্তিরহাট, রাজারহাট, সরফভাটা, ইসলামপুর, রাজারহাট, ধামাইরহাট, দক্ষিণ রাজানগর, চন্দ্রঘোনা, কোদালা, শিলক, পদুয়া রাজারহাট ও পৌরসভা গোডাউন এলাকায় বেকারি গড়ে উঠেছে। এসব বেকারিতে শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরা কাজ করছে। পৌরসভা গোডাউন এলাকায় ‘ডলফিন বেকারি’তে কয়েকজন শ্রমিক খালি গায়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি করছে। শ্রমিকদের শরীর থেকে ঘাম পড়ছে ময়দাতে। মশা-মাছি চারদিকে ভোঁ ভোঁ করছে। ময়দা খোলামেলা করে রাখাতে অবাধে মাছি পড়ছে খাদ্যপণ্যে। ‘ডলফিন বেকারি’র ম্যানেজার মোহাম্মদ তসিব জানান, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে উন্নত মানের যন্ত্রপাতি দিয়ে বিস্কুট, কেক, বন, ডায়নিস, বাটার বনসহ বিভিন্ন কোয়ালিটির খাদ্যপণ্য তৈরি করা হয়। অন্য বেকারিগুলো থেকে তার খাদ্যপণ্য সঠিক বলে দাবি করেন। অনুমোদনহীন, মানহীন এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে পরিবেশবিদ ও সচেতন মহল। তারা এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদের সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলায় কয়টি বেকাার ও মিষ্টি কারখানা রয়েছে তার নির্দিষ্ট তালিকা উপজেলা প্রশাসনের কাছে নেই বলে জানা গেছে। রানীরহাটের মোহাম্মদ করিম বলেন, রাঙ্গুনিয়া জুড়ে ভেজাল, মানহীন ও নকল খাদ্য প্রস্তুত করছে অধিকাংশ বেকারি। দিন দিন মানুষের গড় আয়ু কমছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ভেজাল ও নকল খাদ্য খাওয়া। অনেক ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। বেকারির মালিক আকতার কামাল বলেন, বেকারিগুলোতে ভালো পরিবেশে খাদ্য তৈরি হচ্ছে। এসব কারখানায় সব বয়সের শ্রমিক কাজ করছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সচিব সমীর জানান, উপজেলা জুড়ে অনুমোদনহীনভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মিষ্টি কারখানা ও বেকারি। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ভেজালবিরোধী অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান কামনা করছে এলাকাবাসী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ